UsharAlo logo
বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিগত ১৫বছর পরিকল্পিতভাবে দেশে অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে : এড. মনা

ঊষার আলো ডেস্ক
এপ্রিল ১৫, ২০২৫ ১০:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

১৫ বছর পর বর্ষবরণে বিএনপি’র জমজমাট আয়োজন

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিগত ১৫ বছর পরিকল্পিত ভাবে দেশে অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা করা হতো। এমন কি পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হতো। দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো। পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন যেটাই বলা হোক না কেন, বাংলা নববর্ষই বাঙালি জাতিকে একত্র করে জাতীয়তাবোধে। ধর্ম, বর্ণ সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতি এই নববর্ষকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়। জীর্ণ-পুরোনোকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) “ নববর্ষে এক্যতান, ফ্যাসিবাদেও অবসান” স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নর্ববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলা নববর্ষে দেশ ও জাতির মঙ্গলে জনগণের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, খুলে যাক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। বাংলা নববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা। সভায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকার সহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সাথে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোন জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া। পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পালন করতে খুলনা মহানগর বিএনপি ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহন করে। কর্মসুচির মধ্যে ছিলো সকাল পৌনে ৭টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। সকাল ৭টায় অতিথিদের আসন গ্রহন ও বর্ষবরণ ১৪৩২ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ। বর্ষবরণের গান (রুকসার রহমান ও জাসাস খুলনার শিল্পীবৃন্দ)। কবিতা আবৃত্তি, পান্তা উৎসব। পরে সকাল ১০টায় নগরীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে নগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, বেগম রেহানা ঈসা, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, কে এম হুমায়ুন কবির, হাফিজুর রহমান মনি, এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, জাকির ইকবাল বাপ্পি, নাসির উদ্দিন, মতলুবুর রহমান মিতুল, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রবি, মহিলা দলের আজিজা খানম এলিজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, শ্রমিক দলের শফিকুল ইসলাম শফি, কৃষক দলের সজীব তালুকদার, জাসাসের ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, কেএম এ জলিলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢোলের তালে, ঘোড়ার গাড়ি, পালকি, মাছ ধরার জাল, পলো, কাস্তে, কোদাল, মাথালসহ লোকজ বাংলার হারিয়ে যাওয়া নানা তৈজসপত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরায় মুগ্ধ শহরবাসী।

ঊআ-বিএস