ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমিজ নাগ (২৪) সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের সাচিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জ্যোর্তিময় নাগ। সে খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। এ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া ইসলাম মিমকে গ্রেফতার করেছে।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বজলুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে এ ঘটনায় তাঁর জ্যাঠাতো ভাই প্রীতিশ নাগ খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী সুরাইয়া ইসলাম মীমের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্রচারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মীম নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোল্লা আবুুল কালাম আজাদের মেয়ে।

ছবি: সুরাইয়া আক্তার মিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার (২২ জুন) রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা খুলনা নগরীর গোবরচাকা এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে পুলিশ প্রমিজ নাগের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এসময় তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রমিজের একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। সেখানে বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, ‘সে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেছে। তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিও। ওই টাকা নিয়ে সে ভালো থাকুক।’ এ ঘটনায় প্রমিজের বন্ধু ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ জানিয়েছিল, প্রমিজের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক সিনিয়র ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ছাত্রীটি বিত্তবান পরিবারের হওয়ায় সে প্রমিজকে বিভিন্ন সময় অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ল্যাপটব ও মোবাইল কিনে দেয়। বুধবার দুপুর থেকে তারা একই সাথে অবস্থান করছিলো। সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। প্রমিজকে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি আত্মগোপন করেছে। তাঁকে খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে।
অপর এক পুলিশ সদস্য জানান, ঘটনাস্থল থাকা সিসি ক্যামেরায় প্রমিজের বান্ধবী মীমের উপস্থিতি দেখা গেছে। সে ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।