বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এখনও অনেক সন্তান তার নিখোঁজ পিতার সন্ধানে কবরখানাগুলোতে খোঁজ নিচ্ছে। শেখ হাসিনা বুলেট দিয়ে মানুষ খুন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তাদের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাকে দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। দেশে প্রতিটি সেক্টরে বসিয়ে রাখা দোসরদের কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
শনিবার তিনি খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন।ডুমুরিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে ডুমুুরিয়া উপজেলা দক্ষিণের আমির মাওলানা মুখতার হুসাইনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা এক সময় সন্ত্রাসী চরমপন্থীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। তখন জীবন বাজি রেখে জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী চরমপন্থীদের নির্মূল করেছি। আজ এখানে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জামায়াত নেতারা জানান, প্রায় ১৪ বছর পর ডুমুরিয়ায় জামায়াতের প্রকাশ্যে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জামায়াত নেতা মাস্টার শফিকুল আলম, মাওলানা এমরান হুসাইন, মুন্সি মিজানুর রহমান, মঈনুল ইসলাম,
মিয়া গোলাম কুদ্দুস, আবু ইউসুফ মোল্যা, বেলাল হোসাইন রিয়াদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি কবির হোসেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি।
মাওলানা এমরান হুসাইন বলেন, শেখ হাসিনার আমলে কেউ ভোট দিতে পারেনি। শাসকগোষ্ঠী ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠনালি চেপে ধরে ছিল। পরে সমাবেশস্থল থেকে বিশাল মিছিল শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।