UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

usharalodesk
জুলাই ৩, ২০২৩ ১:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি বহুল আলোচিত। সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা থেকেই অনুমান করা যায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরও কত ধরনের অনিয়ম চলমান রয়েছে। জানা যায়, সাত বছর ঝুলে আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ।

আরও জানা যায়, প্রস্তাবিত আইন পাশ হলে দেশের বেসরকারি খাতের উচ্চশিক্ষায় বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা দূর হবে। বিষয়টি আইনের সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তার অংশেও উল্লেখ আছে। এতে বেশকিছু কঠোর বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা বা বোর্ড অব ট্রাস্টিজে (বিওটি) এক-তৃতীয়াংশ সদস্য শিক্ষাবিদ রাখা, বিওটির ক্ষমতা কমানো।

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ শুরু হয় ১৯৯২ সালের আইনের মাধ্যমে। এটি সংশোধন করা হয় ২০১০ সালে। ৫ বছরের মাথায় এ আইনও যুগোপযোগিতা হারায়। পরে ২০১৫ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এ আইন আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইন যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলেও গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দেওয়া হয় যা এখন ফাইলবন্দি।

জানা যায়, আইনের খসড়াটি মোট ২২ পৃষ্ঠার। খসড়া ও পুরোনো আইনের তুলনামূলক বিবরণীসহ ৪৪ পৃষ্ঠার ফর্দ পাঠিয়েছে ইউজিসি। এতে সংশোধনের ‘উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি’ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং আইন অমান্য করার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আমরা আশা করব, আলোচিত আইনটি সংশোধনে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। উচ্চশিক্ষার স্বার্থে আলোচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকর। কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে অনিয়ম করে পার পেতে না পারে, সে জন্য ইউজিসিকে প্রভাবমুক্ত হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও বিশেষভাবে তৎপর হতে হবে।

ঊষার আলো-এসএ