UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে মূল্যস্ফীতি কমবে

usharalodesk
জুলাই ২৬, ২০২৩ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে সুখবর দিলো আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। তিন মাসের ব্যবধানে সংস্থাটি বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার যেমন বাড়াল, তেমনি মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমাল। বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। যে কারণে আগামীতে আরও কমবে। মূল্যস্ফীতির কমার কারণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মধ্যেও প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বাড়বে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেট, জুলাই’ ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি আইএমএফের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩ শতাংশ হবে। গত এপ্রিলে সংস্থাটি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রত্যাশার চেয়ে বেশি গতিশীল হওয়ায় তারা প্রবৃদ্ধির হার সামান্য বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে আগামী বছরের প্রবৃদ্ধিও ৩ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে। পাশাপাশি বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হারও সামান্য কমিয়েছে সংস্থাটি। গত এপ্রিলে বলেছিল চলতি বছর মূল্যস্ফীতি হবে ৭ শতাংশ। এ থেকে দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে বলা হয়েছে মূল্যস্ফীতি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গত বছর বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী বছর মূল্যস্ফীতির হার আরও কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানা হয়েছে। এর প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ কিছুটা কমবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও জোরদার হবে। এতে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে যাবে।

বড় অর্থনীতির দেশগুলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেশ সচল করে তুলেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ভারত, জাপান, ব্রাজিল এসব দেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে। তবে বেশ কিছু দেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলের তুলনায় আর্জেন্টিনা, জার্মানি, কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের প্রবৃদ্ধির হার সামান্য কমানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির বড় অংশই আমদানিজনিত কারণে হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাবও রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমার ফলে পণ্যের দামও কমবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি খরচও কমবে। ফলে দেশের বাজারেও মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে আসবে। গত জুনে দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দশমিক ৯ শতাংশ হবে। তবে জামার্নির প্রবৃদ্ধি কমে দশমিক ৩ শতাংশ নেতিবাচক হবে। ফ্যান্সের দশমিক ৭ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে দশমিক ৮ শতাংশ হবে। ইটালির ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে আড়াই শতাংশ হবে। যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল নেতিবাচক। এখন তা সামান্য বাড়িয়ে দশমিক ৪ শতাংশ ইতিবাচক করা হয়েছে। তবে দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে। কানাডার প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপানের ১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১.৪ শতাংশ হবে, চীনের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ভারতের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে দশমিক ৫ শতাংশ নেতিবাচক হবে। তাদের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমবে দশমিক ১ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে, মালয়েশিয়ার প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৪ শতাংশে ও থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি সামান্য কমবে। ২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমে আড়াই শতাংশ হবে। এর মধ্যে সৌদি আরবের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ১ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। তুরস্কের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩ শতাংশ ও ইরানের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ থেকে বেড়ে আড়াই শতাংশ হবে।

ঊষার আলো-এসএ