ঊষার আলো রিপোর্ট : গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতকি প্রভাব খাটানোর জন্য সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করা, ব্যক্তি স্বার্থে, ব্যবসায়িক স্বার্থে নানান কারণে সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে একটা প্রবনতা সেই প্রবনতা প্রবল। আবার এই প্রবনতার মধ্যে এমনও আছে যে, গণমাধ্যমকে নিজেদেরকে একটা অবস্থান তৈরির করার জন্য একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন অনেকে, অনেক শিল্পগোষ্টি। একি হাউজের মধ্যে দুটি টেলিভিশন আছে, একই হাউজের মধ্যে টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন, পত্রিকা সবই আছে। এই যে ক্ষমতা মিডিয়া যে কেন্দ্রীকরণ প্রতিযোগিতা। এই কেন্দ্রীয়করণে প্রতিযোগিতা নষ্ট করা। এখানে কোন সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা হতে পারে না। আর সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা না থাকলে এই শিল্পের বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হবে না। সে জন্যই এখানে সংস্কারের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে আমাদেরকে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ আরও বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানী-নির্যাতন গত ১৫ বছরে অনেক রেকর্ড আছে। এখানে সাংবাদিকরা যথাযথভাবে প্রশ্ন তুলেছেন এই যে, সরকারি কর্মচারিরা বঞ্ছিত হচ্ছিলো পদোন্নতিতে অথবা অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তাদেরকে পুর্ন সুযোগ সুবিধাসহ গত ৫ বছর, ৭ বছর, ১০ বছরের সুযোগ সুবিধাসহ পূর্নবহাল করা হয়েছে অথবা আর্থিক সুবিধা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে কেন সেরকম হবো না। যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো, যে প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো অন্যায়ভাবে। সেই প্রতিষ্ঠানকে কেনো ক্ষতিপুর্রণ দেওয়া হবে ন। সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, দীর্ঘ বেকাররত্ব শিকার হয়েছেন নিশ্চয়ই তারা ক্ষতিপুরণের দাবিদার হতে পারতো। আবার একই ভাবে যারা অন্যয়ভাবে জেল খেটেছেন এই যে ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাগুলো প্রত্যাহার হওয়ার কথা, এখনো প্রত্যাহার হয়নি। কেনো প্রত্যাহার করেননি? এটা দ্রুত প্রত্যাহার হওয়া উচিত। কথা ছিলো ৭দিনের মধ্যে প্রত্যহার হয়ে যাবে। এখনো প্রত্যাহার হয়নি। আমরা আশাকরি সরকার দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। অনন্ত বলা হয়েছিলো সরকারের তরফ থেকে মতপ্রকাশের কথা বলার জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা চাইবো এসব মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হোক, প্রত্যাহার হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, টিটু দত্ত গুপ্ত, মিজ জিজির আমির এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন। মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা গণমাধ্যম সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেন।
ঊষার আলো-এসএ