ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে খুলনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খুলনা সিটি ইন হোটেলে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ভ্যাট “দিব জনে জনে, অংশ নিব উন্নয়নে”। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র কমিশনার সৈয়দ আতিকুর রহমান। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শ্রাবনী চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোংলা কাস্টমস হাউস, মোংলা, বাগেরহাটের কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সহ-সভাপতি মোস্তফা জেসান ভুট্টো। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট, খুলনার কমিশনার এস এম সোহেল রানা।
সভায় প্রধান অতিথি খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শ্রাবনী চাকমা বলেন, ভ্যাট সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানো ও ভ্যাট প্রদানের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ১৯৯১ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থার চালু হয়। সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ যদি সঠিকভাবে ভ্যাট প্রদান করে তা হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। সবধরনের কেনাকাটায় ভোক্তাদের ভ্যাট চালান গ্রহণ করতে হবে। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার অতিরিক্তি কমিশনার মো: বশীর আহমেদ। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, খুলনা অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র পরিচালক খান সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সমাজ, ভ্যাট, ট্যাক্স, শুল্ক, আয়কর ও অন্যান্য করসহ সব ধরনের রাজস্ব প্রদানে সর্বদা প্রস্তুত। খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও সব ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্স পরিশোধে সব সময়ই আন্তরিক। তিনি বলেন, ‘ভ্যাটের পরিমান বৃদ্ধি না করে ভ্যাটের পরিধি বৃদ্ধি করা হলে সরকার রাজস্ব আহরণে অধিক লাভবান হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ঊষার আলো এইচআর