২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মে। ওই দিন বিবাদী পক্ষকে আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য করেছেন খুলনা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: খুরশীদ আলম।
বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে মামলার ৬ বিবাদীর কেউই আদালতে হাজির হননি বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা। তিনি বলেন, সে সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। এবং তাদের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের কর্মী বাহিনী ১৫ মে ভোট শুরুর সাথে সাথে সকল কেন্দ্র দখল করে নিয়ে নৌকা মার্কায় জাল ভোট প্রদান করে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ওই দিন দুপুরে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কট করেন। তিনি আইনের দ্বারস্থ হন। সুদীর্ঘ সময় মামলা চললেও বিবাদীর কেউ আদালতে হাজিরা দেননি। আদালত আজ শুনানী শেষে ৪ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছে।
এদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দায়ের করা এই নির্বাচনী মামলার রায় নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। জনসাধারণের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা ও জোর গুঞ্জন। সকাল থেকেই মহানগরীর প্রতিটি থানা ও ৩১ টি ওয়ার্ড থেকে মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে এসে হাজির হন। পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ২২ নং ওয়ার্ড থেকে কয়েকশ’ সমর্থক নিয়ে প্লাকার্ড সহ একটি মিছিল নিয়ে আসেন সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। এছাড়া মটার সাইকেলের বহর নিয়েও অনেককে আসতে দেখা গেছে। দুপুর ১২টার কিছু আগে শুনানী শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসেন মঞ্জু। তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলা শেষে আদালত চত্বর ত্যাগ করাকালে নেতাকর্মীরা গগন বিদারী শ্লোগানে সমগ্র এলাকা মুখর করে তোলে।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল জানান, সকল থানা ও ওয়ার্ডের সিনিয়র নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
ঊআ-বিএস