ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : অনেক দিন ধরেই বৃষ্টি নেই আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলেন মুসাল্লিরা, তারা বলেন আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে বৃষ্টি দেন।’ অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ দেখা দিয়েছে দেশের সর্বত্র। টানা খরায় পুড়ছে খুলনা সহ আশপাশের জেলা । বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে, একই সঙ্গে চলতি বছরের আমন আবাদের সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে।এ অবস্থায় বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া করেন মশিয়ালী গ্রামের মুসাল্লিরা ।
মশিয়ালী মাদ্রাসার সামনে শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলেমা ও সাধারণ মুসল্লিরা।নামাজ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মশিয়ালী দাখিল হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও খতিব মাওলানা ওমর ফারুক। নামাজে কয়েকশ মানুষ উপস্থিত হন।
নামাজে অংশ নেয়া মশিয়ালী গ্রামের ইমাম হাফেজ মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার জীবনে রোদের তাপ এত দেখিনি। ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না।
একই গ্রামের বাসিন্দা নিয়ামত আলী বলেন ‘আমি কৃষক। কৃষির ওপর আমাদের এলাকার সবাই নির্ভর করে। পাট কেটেছি, পানির অভাবে সেগুলো জাগ দিতে পারছি না। পাটের জমিতে আমন আবাদ করব, সেটাও করতে পারছি না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমন ধানের বীজের বয়স বেড়ে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা। আল্লাহ যেন বৃষ্টি দিয়ে আমাদের উপকার করেন, সেই আশায় এসেছি প্রার্থনা করতে।’
আরেক মুসল্লি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টির কারণে আমরা আমন রোপণ করতে পারছি না৷ এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’
মুসাল্লিরা বলেন ‘অনেক দিন ধরেই বৃষ্টি নেই । আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলাম। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে বৃষ্টি দেন।’
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।