ঊষার আলো রিপোর্ট : মাগুরায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়ার বয়স আজ সাত বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সুরাইয়া মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জরুরিভাবে অস্ত্রোপচার করেন। পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম বলেন, জন্মের পর থেকে সুরাইয়া অসুস্থ।
তার একটি চোখ একদম নষ্ট হয়ে গেছে। একটি পায়ের ওপর ভর করে চলাফেরা করে। ডাক্তার বলেছেন, প্রতি মাসে ঢাকার সিআরপিতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য আমরা ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছি না। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সমস্যার কারণে আমরা প্রতিদিন সুরাইয়াকে স্কুলেও নিয়ে যেতে পারি না। অনেক ইচ্ছা ছিল মেয়েটারে লেখাপড়া শেখাব, কিন্তু সেটাও ভালোভাবে হয়ে উঠছে না।
সুরাইয়ার বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, আমার ছোট্ট একটি চায়ের দোকান আছে। তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। আজ জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নতুন একটি জামাও কিনে দিতে পারিনি। টাকা-পয়সার সমস্যার কারণে মেয়েটার ভালো করে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এ বছর সুরাইয়াকে মাগুরা পুলিশ লাইন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, আজ প্রায় সাতটি বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরছি।
এখনো বিচারের রায় হয়নি।মাগুরা পুলিশ লাইন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আক্তার বলেন, লেখাপড়ার প্রতি সুরাইয়ার ভালো মন আছে। তবে সে একা একা চলাফেরা করতে পারে না। তার মা তাকে সপ্তাহে দুই-তিন দিন স্কুলে নিয়ে আসেন। সুরাইয়ার প্রতি সব শিক্ষকের সুদৃষ্টি রয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ