UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মা শ্বাশত, চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম

ঊষার আলো
মে ৯, ২০২১ ৮:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এনামুল হক : প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। মা শ্বাশত, চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম। মা শব্দটি মনে করিয়ে অকিৃত্রিম স্নেহ, মমতার গভীর ভালবাসা কথা। আজ বিশ্ব মা দিবস। সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে মায়ের প্রতি সন্তানের অকৃত্রিম ভালবাসা আর গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে, তবে যে সকল মমতাময়ী মা তাদের চিরন্তন ভালবাসার তিল-তিলে তুলেছেন সন্তানের ভবিষৎ, নিরাপদ করেছেন তাদের আগামী দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু অকৃতজ্ঞ সন্তান মায়ের সেই ভালবাসার প্রতিদানে তাদের পাঠায় বৃদ্বাশ্রমে। যাদের প্রতিটি মূহর্তকাটি সন্তানের ফিরে আসার প্রতিক্ষায়। শুধু বিশেষ দিনে নয় ভাগ্য হতে সেই সকল মায়েদের প্রতি আমাদের শ্রদ্বা প্রতিটি দিনের, প্রতিটি মূহুর্তের ইসলাম মায়ের পুরুত্ব অনেক। অন্ধকার যুগের যাদের ঘর আপনাদের চোখে দেখা হত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সম্মানের সুচনা হয়। ইসলাম নারীকে সঠিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করে। মা সকল প্রকার চাওয়া-পাওয়া, সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস বাদ দিয়ে জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে তুলেন।
মাকে যথাযথ সম্মান দিলে সন্তানের বেহেস্তে যাওয়া সহজ হয়। অপরদিকে মায়ের মনে কষ্ট দিলে তার অবাধ্য হলে সে যত বড় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হউক না কেন তার বেহেস্ত লাভ করা কঠিন।
মা দিবস হল একটি সম্মান সে যত বড় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হউক না কেন তার বেহেস্ত লাভ করা কঠিন।
মা দিবস হল একটি সম্মান প্রদর্শন জনক এবং মাতৃত্ব,মাতৃক এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য উৎযাপন করা হয়।
তোমার তুলনা তুমিই,মা,এই প্রতিপাদ্যে মা দিবস পালন নিয়ে উইকিপিডিয়া তুলে ধরেছে দুটি ইতিহাস। একটি ইতিহাসে বলা হয় “মা দিবসের” প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন গ্রিসে,অন্য ইতিহাস হলো-সর্ব প্রথম ১৯১১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার আমেরিকাজুড়ে “মাদারিং সানডে” নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়। ১৯১৪ সালের
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্টীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর পৃথিবী জুড়ে দেশে-দেশে মা দিবস পালনের প্রচলন ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর সকল দেশেই মা শব্দটি সর্বজনীন।
মা আমাদের প্রথম কথা বলা শেখায় তাই মায়ের ভাষা আমাদের কাছে মাতৃভাষা। মা হচ্ছে মমতা-নিরাপত্তা –অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়। মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

(ঊষার আলো-এমএনএস)