UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুমেকে করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তি

usharalodesk
জুন ২৭, ২০২১ ৪:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। করোনা হাসপাতালের সামনেই নমুনা সংগ্রহ করায় করোনা আক্রান্ত ও করোনা সন্দেহ রোগী মিলে মিশে একাকার, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও।
একদিন আগে খুলনা মেডিকেল কলেজর ফ্লু কর্নারে নমুনা পরীক্ষা করাতে এসে ফিরে যেতে হয়েছে সোনাডাঙ্গা এলাকার গৃহবধূ আসমা বেগমকে। রবিবার আবারও এসেছেন নমুনা পরীক্ষার করানোর জন্য। ভীড় থাকায় ও সিরিয়াল না পাওয়ায় হাসপাতালের সামনে রাস্তায় অপেক্ষামান তিনি।
আসমা বেগম বলেন, শরীরে ব্যাথা ও জ¦র থাকায় চিকিৎসার জন্য শনিবার মেডিকেল কলেজর জরুরী বিভাগে আসেন। সেখান থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ফ্লু কর্নারে। দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থেকেও গতকাল দিতে পারেননি নমুনা। রবিবার সকাল সাতটায় এসে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পারেননি নমুনা পরীক্ষা করাতে।

সকাল আটটায় নমুনা সংগ্রহের কথা থাকলেও ১০ টা বাজার পর শুরু হয় নমুনা সংগ্রহের কাজ। সাড়ে ১২টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করা হয় ১২টায়। নমুনা পরীক্ষা করতে আসা ব্যাক্তিদের হাসপাতালের সামনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তারপরও নমুনা পরীক্ষা না করাতে পেরে ফিরে যেতে হয় অনেককেই।
নগরীর দৌলতপুরের বাসিন্দা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনএরও একি অভিযোগ তিনি বলেন, উনারা ভিতরে উনাদের লোকদের আগে নমুনা নেয়। আমরা সকাল সাতটা থেকে দাঁড়িয়ে থাকলেও আমাদের নেয় না। শ্বাস কষ্ট ও জ্বর গায়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
কলেজ পড়ুয়া সুমন বলেন, গতকাল চার-পাচ জন থাকা অবস্থায় নমুনা নেওয়া বন্ধ করে দিল। চার পাচ জনের নিলে আজ আর সাতে হতো না। ফ্লু কর্নারের মুখপাত্র বলছে, স্টাফ আসতে দেরি হওয়ায় দেরি হতে পারে তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সুহাষ রঞ্জন হালদার, মুখপাত্র, ফ্লু কর্নার, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বলেন, বৃষ্টি সহ নানাবিধ কারনে মাঝে মধ্যে স্টাফ আসতে দেরি হলে দেরি হয় নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে। কিন্তু নমুনা না নিয়ে ফেরত পাঠানো বা নমুনা নিতে প্রতিদিন দেরি হওয়া এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়ইশ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এখন।

(ঊষার আলো-আরএম)