ঊষার আলো রিপোর্ট : নিমিষেই সব আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে। বাস দুর্ঘনায় আহত হয়েছে শিশু, নারী-পুরুষসহ প্রায় ৩০ জন।
আহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের দরুদ শেখের ছেলে রাহাত (৩) ও দোদুল (৩৫) তার ছেলে সামিউল ইসলাম (৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী খাজিরন নেছা (৩০), মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০) ও সোহাইমা খাতুন (৪), জাকিরুল ইসলাম (৩৫) তার মেয়ে জুই খাতুন (৭), স্ত্রী লিমা খাতুন (৩০) ও ছেলে জুবাইয়ের হোসেন (৪), ছুরমান আলীল স্ত্রী পলি খাতুন (৩০), ঝন্টু আলীর ছেলে নাহিদ হোসেন (১৮), রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তি খাতুন (৩০), ছুরমান আলীর ছেলে সম্রাট (১০), নজরুল ইসলামের স্ত্রী টুলু খাতুন (৫০), হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (২৩), হাফিজুল ইসলামের ছেলে হাসিবুল (১), সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাহিম (৪), টিপু সুলতানের স্ত্রী আসমানি খাতুন (২৫), মুকুল হোসেনের স্ত্রী মিলি খাতুন (৩০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন (৩০), মোমিনপুর গ্রামের মুকুল হোসেনের স্ত্রী পলি খাতুন (৩৫), ছেলে মন্টু (৮), মুকুল হোসেনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন (৩০)।
জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের লোকজন নাটোরের লালপুর পিকনিক স্পটে যাচ্ছিলেন। বাসটিতে নারী শিশুসহ ৩৭ জন ছিলেন। মেহেরপুর জ ০৪-০০১৬ বাসটি জোড়পুকুরিয়া ও তেরাইল মাঠের মধ্যে তেরাইল কলেজের সামনে ছোট কালভার্টের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। এ সময় বাসের মধ্যে থাকা সবাই কম বেশি আহত হন।খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার ইছাহাক আলী বলেন, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু আহত নিজ ব্যবস্থাপনায় মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্বারের চেষ্টা চলছে।গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঊষার আলো-এসএ