UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়ূর নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তরা গল্লামারী ময়ূর নদী সংষ্কার করে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে

pial
মে ২১, ২০২২ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর বিজ্ঞপ্তি : খুলনার প্রবেশদ্বার গল্লামারী ময়ূর নদী সংষ্কার, দখল মুক্ত, দুষণ মুক্ত, দুর্গন্ধ মুক্ত ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং ময়ূর নদীর পরিবেশ রক্ষা করে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নগরীর ২২ খাল পুনরুদ্ধারে খুলনা সিটি করপোরেশন অভিযান পরিচালনা করলে তা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগে কেউ কেউ নতুন করে দখল করেছে। ২২টি খাল নানাভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা তীব্রতর হয়েছে।

শনিবার (২১ মে) সকাল ১১টায় নগরীর গল্লামারী ব্রিজের উপর বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর উদ্যোগে ময়ূর নদী রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তরা এসব কথা বলেন। বক্তরা আরও বলেন, নগরী ২২টি খালের মধ্যে সাহেবখালী খাল, বাটকেমারী খাল, ছড়িছড়া খাল, ময়ূর নদ, মন্দার খাল, হরিণটানা খাল, তালতলা খাল, তমিজ উদ্দিন খাল, মতিয়াখালী খাল, খুদে খাল, নারকেলবাড়িয়া খাল, ছোট বয়রা শ্মশানঘাট খাল ও মজুমদারের খাল ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। নবীনগর খালের ওপর তৈরি হয়েছে ট্রাক টার্মিনাল ও বাস টার্মিনাল। রেলওয়ে এলাকায় যে খালটি ছিল তার ওপর এখন হলুদ-মরিচের আড়ত। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের পশ্চিমে তৈরি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের কারণে একটি খালের মুখ বন্ধ হয়ে আছে। এর ফলে নগরীর পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এছাড়া ময়ূর নদীর পানি নষ্ট হয়ে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যাবে নগরের সড়ক ও ঘরবাড়ি-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পানি জমে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। যে কারণে ময়ূর নদী ও ২৬টি খাল দখলমুক্ত করতে পূনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে পরিবেশ রক্ষা এবং শহরের বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ হতে রক্ষা করার আহবান জানান বক্তরা।

বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সহ-সভাপতি ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু’র সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিত্যনন্দ ঢালী, নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ ফ ম মহসীন, পরিবেশ সুরক্ষার উপকুলীয় জোটের আহবায়ক আয়কর আইনজীবী এস এম শাহনেওয়াজ আলী, ওয়াকার্স পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন দিলু, মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কো-অডিনেটর এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ্ মামনুর রহমান তুহিন, খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব প্রেণিপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেন, যুব ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আজমল হোসেন রাজু, কেডিএফ সভাপতি আব্দুস সালাম আকর শিমুল, আলোর মিছিল সভাপতি তারেক শেখ, সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সোনালী দিন প্রতিবন্ধি সংস্থার সভানেত্রী ইশরাত আরা হিরা, নাগরিক নেতা মো. আব্দুল হালিম, মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক সমিতির নেতা মো. আইনুল হক, সিবিপি জেলা যুগ্ম-সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি শাকিল আহমেদ রাজা, খালিশপুর থানা যুবলীগ নেতা মো. রিপন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সহ-সভাপতি কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, ডা. আব্দুস সালাম ও শেখ হেদায়েত হোসেন হেদু, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও এম এ জলিল, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম ভুট্রো, ক্বারী শরীফ মিজানুর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম সবুজ, নারী নেত্রী কাওসারী জাহান মঞ্জু, শাহানা পারভীনস্বপ্না, লাকী আক্তার, সোমা আক্তার, সাথী আক্তারসহ নগরীর গণ্যমান্য বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

(ঊষার আলো-এফএসপি)