যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালন
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, মহান স্বাধীনতার পর জাতি যখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত, নেতৃত্ব যখন দিশাহীন-ঠিক সেই সময়েই আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। তাঁর নেতৃত্বে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে যায়। বাংলাদেশের জনগণ তখন নতুন করে নিজেদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেতে শুরু করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল শক্তিশালী, ভাবনায় ছিল স্বচ্ছতা আর চিন্তায় ছিল দেশপ্রেম। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং ত্যাগের যে উদাহরণ তিনি রেখেছেন, তা আজও কোটি মানুষকে আলোড়িত করে। একজন সৈনিকের মতো দৃঢ়চেতা মন নিয়ে তিনি আত্মনিয়োগ করেন দেশ গঠনের কাজে।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি ৫ (পাঁচ) দিনের কর্মসূচির তৃতীয়দিনে বিশেষ দোয়া পুর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে ইতিহাসের বাঁকবদলের সময় জিয়াউর রহমান কণ্ঠে তুলে নেন সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা, ‘উই রিভোল্ট। আই মেজর জিয়া, ডিক্লিয়ার দ্য ইন্ডিপেনডেন্স অব বাংলাদেশ‘ শুধু ঘোষণায় থেমে থাকেননি, সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। স্বাধীনতার পর দেশের পুনর্গঠনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। ক্ষমতা নয়, দেশের কল্যাণ ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর যখন জাতি দিশাহারা, ঠিক তখনই দৃঢ়তা নিয়ে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান। উচ্চাভিলাষী সেনা অফিসার নন, বরং জাতির প্রয়োজন মেটাতে উদিত হয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতকে একত্র করে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তাঁর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আজ ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, জাতীয়তাবাদ, উৎপাদনমুখী অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আত্মমর্যাদায় বলীয়ান একটি জাতি’ এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদী শক্তির চোখরাঙানির বাইরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যান। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশকে বের করে এনে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করেন। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান কোনো আরামপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক সংগ্রামী আদর্শবাদী, যিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতিকে জাগাতে হলে আগে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ যেন একটি জীবন্ত ইতিহাস, যা থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। আজ যখন আমরা রাষ্ট্রনায়কের সঙ্কটে ভুগি, তখন শহীদ জিয়াউর রহমানের দূরদৃষ্টি ও আত্মত্যাগ আমাদের সামনে পথের দিশা দেখায়। তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন-বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায়। আলোচনা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, এড. মোমরেজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস প্রমূখ। এছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, জাসাস, মহিলাদল, কৃষক দল, তাঁতীদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সুর্যোদয়ের মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়, নেতাকর্মীদের কালোবাজ ধারণ করেন, আলোচনা শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এছাড়া সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। মহানগর অন্তর্গত সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ, সকল মন্দির গির্জায় বিশেষ দোয়া, সকল থানায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী হয়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের খাবার বিতরণ (জুম্মাবাদ) করা হয়। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
কমার্স কলেজ ছাত্রদল: জিয়াউর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা কমার্স কলেজ হোষ্টেল মজিদ হল প্রাঙ্গণে কলেজ শাখার সভাপতি শেখ শামসাদ হোসেন আবিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ শফিকুল আলম মনা, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন কমার্স কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান প্রধান, উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু ও চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মহানগর যুবদলের আহবায়ক – আবদুল আজিজ সুমন, বক্তব্য রাখেন- রিয়াজ শাহেদ, হাবিবুর রহমান কাজল, হেলাল আহমেদ সুমন,মুজাহিদুল ইসলাম টনি, রাকিব খান, আহসান আল বাকের, আরিফুর রহমান আরিফ, খান সাইফুল, সৈয়দ ইমরান, নাজিম উদ্দীন, উপস্থিত ছিলেন ইয়াসিন গাজি, রিফাত ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মোঃ মাহিন রহমান, বায়েজিদ শেখ,শাহরিয়ার নাইম,নাজের মাহমুদ নিবিড়, তাসনিম হাসান ইনক, তৌকির আহমেদ, নাইম মীর, শাহরিয়ার তুষান, আরমান শেখ, আরাফাত, ফরহাদ হোসেন মানিক, মাকসুদুর রহমান, সালমি আহমেদ তারেক, মাহিম খান , রাফি, সাজিদ সহ প্রমুখ।
সিটি কলেজ ছাত্রদল: জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিটি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ করা হয়। সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্ব এবং সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহমেদ ও আজম খান সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন শামীম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আমিনুজ্জামান সুজন, হাফিজুর রহমান, ইকতিদারুল ইসলাম, মুশফিক সালেহীন টিপু, নাজির মাহমুদ নিবিড়, এস এম সাকিব রেজা, ফারহান জামান মাহিন, রিসাদ হোসেন, মারুফ শিকদার, রিফাত আহমেদ, আবির শাহরিয়ার খাঁন, মারজান, শেখ উবায়দুর রহমান, মো: ইয়াসিন রচি, মেহেদী হাসান, নাসিফ রহমান তাহসিন, মো: শাহরিয়ার হোসেন, ইয়াসিন শেখ, সাব্বির আহমেদ রনি, তুফান, মেহেদী হাসান, সজীব, রুদ্র আহমেদ প্রমূখ।
ঊআ-বিএস