ঊষার আলো ডেস্ক : গত ৬ জুলাই সোমবার দুপুর আনুমানিক সোয়া ১টার দিকে যশোর কার্পেটিং জুট মিলের কিছু অসাধু কর্মচারী ও স্থানীয় চিহ্নিত সিন্ডিকেট যশোর কার্পেটিং জুট মিলের অভ্যন্তরে কাঁঠাল গাছের মূল্যবান লগ ও যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে মিল থেকে বের করার সময় মিলের নিরাপত্তা কর্মীসহ স্থানীয় শ্রমিক তাদের বাঁধা প্রদান করে। লগ ও যন্ত্রাংশ মিলের বাইরে নেওয়ার কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা নিরাপত্তাকর্মীরা জিজ্ঞাসা করলে তারা অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা মিলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ নাসির উদ্দিনকে মোবাইল করলে তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন। তখন নিরাপত্তাকর্মী তাকে জানান, একমাত্র নিরাপত্তা কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া অনুমতিবিহীন লগ ও যন্ত্রাংশ মিলের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না। পরবর্তীতে শ্রমিক ও দারোয়ানদের সম্মিলিত বাঁধার মুখে ঐ চক্র মালামাল মিলের বাইরে বের করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রমিক ও দারোয়ানদের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। চুরির ঘটনাটি জানাজানি হলে, ৭ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আঞ্চলিক নেতা শামস শারফিন শ্যামনসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার খোঁজ-খবর নিতে গেলে উক্ত সংঘবদ্ধ দলটি মিলে কর্মরত কর্মচারী নিশানের নেতৃত্বে আক্রোশবশত তাকে ও নিরাপত্তাকর্মীদের প্রহার করে। শ্যামনকে প্রহার করায় উপস্থিত সাধারণ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ রাজঘাট আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক শামসেদ আলম শমসের, শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছায়। শ্রমিকদের ওপর আক্রমণসহ চুরির প্রচেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত দু’মাস আগে জেজেআই মিলের কয়েক কোটি টাকার জিনিসপত্র নদীপথ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের ওপর আক্রমণসহ চুরির প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক নেতা শ্যামনকে প্রহার করার ঘটনার সাথে যুক্ত দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং পাটকল বন্ধের সুযোগে মিলের সম্পদ চুরির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিদাতারা হলেনÑসংগঠনের আহবায়ক এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, সদস্য সচিব এস এ রশীদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন, যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আনিসুর রহমান মিঠু এবং সিপিবি খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এম এম রুহুল আমিন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদক ডাঃ সমরেশ রায়, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক গাজী নওশের আলী, নাগরিকনেতা আফজাল হোসেন রাজু প্রমুখ।