ঊষার আলো রিপোর্ট : গর্ভবতী নারীরা কীভাবে ঈদের মাংস খাবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা।
প্রথম তিন মাসে থাকলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ঝুঁকিপূর্ণ বলতে বোঝায়— বয়স যদি খুবই কম হয়; অর্থাৎ ১৮-এর নিচে এবং ৩৫ বছরের বেশি হলে। ডায়বেটিস অথবা হৃদরোগে আক্রান্ত থাকলে অথবা হাইপারটেনসিভে আক্রান্ত থাকলে তাদের আমরা ঝুকিপূর্ণ বলে থাকি।
সাধারণত প্রথম তিন মাসে বেশি খেতে পারেন না গর্ভবতীরা। এ জন্য বমি হতে পারে, যা খেতে পছন্দ করে তা খেতে বলি। বিশেষ করে তরল ও শাকসবজি বেশি খেতে বলি। তবে ঈদের সময় বেশি করে গরুর মাংস খেলে কন্সট্রিবেশন হতে পারে এবং ব্লিডিংও হতে পারে। এটি থেকে পাইলস হতে পারে। সুতরাং ইচ্ছামতো গরুর মাংস খেতে পারবে না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে পারবে।
শর্করা, আমিষ, প্রোটিক কতটুকু খাবে, তা আমরা ভাগ করি দিই। যতটুকু ভাগ করে দিব ততটুকু খেতে পারবেন। এর বেশি খেলে ক্ষতি হবে, যা খাবেন পরিমাণমতো খেতে হবে।
মাঝখানের তিন মাসে পেসার বাড়তে পারে, ডায়বেটিসও হতে পারে। অনেক সময় বাচ্চার বৃদ্ধিতে সমস্যা হতে পারে। এ সময় মাকে ডায়েট করতে বলা হয়। এটি নির্ভর করে বাচ্চা বৃদ্ধির ওপর।
শেষের তিন মাস বাচ্চা বৃদ্ধির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঠিকমতো বাচ্চা বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা আন্ডারওয়েট থাকে। অথবা ওভারওয়েট থাকে। বাচ্চার ওজন কম হয়ে থাকলে মাকে খাবার মান বৃদ্ধি করে দিই। অন্যদিকে বাচ্চার ওয়েট বেশি থাকলে মাকে খাবার সংযোজন ও বিয়োজন করে থাকি।
বিশেষ করে সাত মাস বয়স হলে শাকসবজি খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে সবুজ সবজি। এ সময় প্রোটিন ও আমিষ পরিহার করা শ্রেয়।
ঊষার আলো-এসএ