বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ-১৪৩২, অপরাহ্ন ০৬টায় সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর সাধন ঘোষের সভাপতিত্বে উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে “বহুমাত্রিক নজরুল দর্শন”—শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সমাজকর্মী রেহানা আক্তার, কবি দুখু বাঙাল, প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস ও নিরঞ্জন কুমার রায়। বক্তারা বলেন, বিশ শতকের এক ক্রান্তিকালে বাংলা- সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের আগমন ও অভিষেক “নূতনের কেতন” উড়িয়ে। তাঁর অবিচল- দ্রোহ, অনিঃশেষ-দেশপ্রেম, অপরাজিত-মানবতাবোধ, অসা¤প্রদায়িক-চেতনা আর সাম্যভাবনা বাংলা সাহিত্যে জাগিয়ে দিয়েছিল বানডাকা জোয়ার-ভাঙা কল্লোল। বক্তারা আরো বলেন, যুগশ্রষ্টা তিনি। জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত মানুষের আত্মজাগরণে আজও কবি নজরুল প্রেরণার উৎস হয়ে আছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।এ প্রসঙ্গে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অরবিন্দ মৃধা।
“মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান”—কবির এই বাণী উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে সম্মিলন পরিষদের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানমালা স‚চনা হয়। “দুর্গমগিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার ওহে” ও “বলো ভাই মাভৈ মাভৈ”—সম্মিলিত সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে, অনুষ্ঠানমালায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন শিল্পী সাধন ঘোষ, তরুণ মজুমদার, কাজী জাহান বাবু, সোনিয়া হক, কাকলি বসু, হিমাদ্রি, অর্পিতা রায় টুলু, অর্পিতা, তাহমিনা পারভীন, দেবোস্মিতা সমাদ্দার, সৌহার্দ্য, সৈয়দা সামিয়া সানম, মন্জুলিকা জামালি, মিতা জামান, রনজিত সাহা, চন্দ্র শেখর অধিকারী, শিলা দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক শঙ্কর মল্লিক।
ঊআ-বিএস