ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার আটরা শিল্প এলাকার আলীম জুট মিলের শ্রমিকদের ৬০ সপ্তাহের বকেয়া পরিশোধসহ বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল পুনরায় চালুর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে তারা ঈদের পর বড় ধরণের আন্দোলনে নামবেন।
পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক হারুণ অর রশীদ মল্লিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন, খলিলুর রহমান, জাকির হোসেন, আলাউদ্দীন, গাজী মাসুম, আঃ রশিদ, আমিরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, ইউসুফ গাজী, আঃ রউফ প্রমুখ।
সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বুধবার সকাল ১১টায় পাট, সুতা বস্ত্রকল সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা। কর্মসূচি শুরুর ৫ মিনিট পর খানজাহান আলী থানা পুলিশ মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অবশ্যই ছেড়ে দেয়। পাটকলগুলি লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখ দেশের ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪৪ বছরে পাটকলে ১০ হাজার ৬শত কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও দেশের অন্যান্য সংস্থায় সরকার বছরে ৫০/৬০ হাজার কোটি টাকা ভুর্তুকী দিচ্ছে। উপরোক্ত খাত বন্ধ করার জন্য এটি অজুহাত মাত্র। আর যার দায় কৌশলে শ্রমিকদের উপর চাপানো হয়েছে। অথচ ব্যবস্থাপনা, ক্রয়-বিক্রয় কোনটির সাথে শ্রমিক জড়িত নয়। ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশের ২৫টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বন্ধের ২২ মাস হতে গেলেও এখনো সকল পাওনা পরিশোধ হয়নি ও মিলগুলোও চালু হয়নি। এসব দাবি পূরণের লক্ষে সংগ্রাম পরিষদ গত ২৫ মার্চ খালিশপুরে সমাবেশের আয়োজন করলে তা পুলিশ বন্ধ করে দেয়। জেডিএল’র অতি উৎসাহি মনোভাব তাদের যৌক্তিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে বন্ধ পাটকলগুলো সরকারী ব্যবস্থাপনায় চালুর দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। একই সাথে তাদের সমুদয় বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান।
শ্রমিকরা পাটকল ও শ্রমিকদের বর্তমান দুরাবস্থার জন্য বর্তমান পাট প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবি করেন। তাঁরা বলেন, এই মন্ত্রীর পক্ষে কোনভাবেই পাটকলের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।