ঊষার আলো প্রতিবেদক : দীর্ঘ ১৪ দিনের টানা লকডাউন শেষে ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দোকান-শপিংমল খুলছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। একই সাথে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অর্থনীতি গতিশীল করতে মহানগরীসহ দৌলতপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হচ্ছে সকল দোকানপাট, শপিংমল বিপনীকেন্দ্র। বৈশ্বিক মহামারী করোনা অর্থনৈতিক চাকার যে অবরুদ্ধতা ঘটিয়েছে তার যাঁতাকলের পিষ্টে এখনও সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি নগরীর দৌলতপুরের পোশাক, শপিংমল, দোকানসহ গামের্ন্টস্ প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ। ঈদকে সামনে রেখে সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা টানা কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধে চোরপুলিশি আংতক থেকে স্বস্তি ফিরে পেয়ে পেছনে ফেলা আসা লাভ-লোকসানের হিসাব কাটিয়ে উঠতে ভালো কেনাবেচার আশায় দোকানপাট, শপিংমল, বিপনীকেন্দ্র গুলোতে নেবে ঈদ প্রস্তুতি বলে জানিয়েছে।
সরেজমিনে, বুধবার দৌলতপুর কেসিসি মার্কেট, মোর্ত্তজা ম্যানশন, আফসানা ম্যানশন, দৌলতপুর বাজার, বেক ডি’ কেক, চানদীনা পট্টি, গার্মেন্টস্ পট্টি, আশা বস্ত্রালয়, প্রবীর কথ স্টোর, শিহাব ফ্যাশন, আফসানা ম্যানশন, শীতল ফ্যাশন, আচল ফ্যাশন, অমি শপিংমল, মিশন এন্ড লিখন গার্মেন্টস্, সেইফ এন্ড সেইভ, জে কে শপিং কর্ণার, নিউ কালেকশন, ফাস্ট চয়েজ, ফারিহা ফ্যাশন, রিয়াজ সু, সালমান সু, স¤্রাট সু, ওয়েলকাম সু, মের্সাস সংসার, সংসার সু, বাটা সু সহ সকল আধুনিক বিপনন কেন্দ্রসহ হোটেল রেস্তোরাগুলো খুলছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ লকডাউন শেষে ঈদ সামনে রেখে তারা সরকারি নির্দেশিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে। কেনাবেচার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
দৌলতপুর শামিম হোটেল এন্ড রেস্টুডেন্টের কর্ণধর শুভ জানান, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পার্সেল বিক্রি করেও হোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে সামান্য দেরী হওয়াতেও জরিমানা সম্মুখিন হতে হয়েছে। দীর্ঘ লকডাউন শেষে পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করে হবে।
বেক ডি’ কেকের প্রোপাইটর মাসুদুর রহমান জানান, দোকান উদ্বোধন করলাম বিগত মাসের ১৮ তারিখে। দোকান দিয়েই লকডাউনের মুখে পরলাম। তাই ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকেনা বেচার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাজার উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি শেখ কামাল জানান, দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন সংস্থা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ১৪ দিনের লকডাউনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দোকান বন্ধসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নিয়মিত সচেনতা প্রচার অব্যহত রেখেছে। যেহেতু সামনে ঈদ তাই ঈদের কথা বিবেচনা করে সরকার দোকানপাট, শপিংমল খুলে দিচ্ছে, সুতারং সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও সময়সীমার মধ্যে দোকান পাট, শপিংমল বাজারের ব্যবসায়ীরা খোলা রাখবে আমি মনে করি। যেহেতু খুলনায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান ভয়াবহতা অত্যন্ত বেশি তাই ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়ইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচার অনুরোধ জানাচ্ছি।