UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুকে জিম্মি করে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার ৩

koushikkln
মে ১৬, ২০২২ ১:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : পিবিআই কর্মকর্তার কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে কলেজচাতী ধর্ষণের রেশ না কাটতেই প্রকাশ পেল কিশোরীকে গণধর্য়ণ ঘটনা। বটিয়াঘাটা  উপজেলার বালিয়াডাঙ্গি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে দুই বোনকে হাত-পা বেঁধে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মধ্যরাতে ২২ মাস বয়সী একটি শিশুকে জিম্মি করে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে রবিবার (১৫ মে) রাতে তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল হোতা মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈমকে র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুজনের মধ্যে একজন ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী। অন্যজন ২৪ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যক্তা নারী। সম্পর্কে তারা দুজন খালাতো বোন। স্বামী পরিত্যক্তা নারীর ২২ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা জানান, শনিবার বিকালে তিনি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়া যান। তার স্বামী চিকিৎসার জন্য বাগেরহাটে গিয়েছিলেন। এসময় দুই বোন বাড়িতে একা ছিল। মধ্যরাতে ৭ যুবক তাদের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে কয়েকজন ঘরে গিয়ে দুই বোনের হাত ও মুখ বেধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় আরও কয়েকজন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল। পরে ভোর রাতে তার মেয়ে তাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়।

তিনি আরও জানান, শনিবার বাড়িতে ফিরে তার মেয়েকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার সময় বড় বোনের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে। শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

রবিবার দুপুরে পিবিআই পরির্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ কর্তৃক এক কলেজ শিক্ষার্থী গণ ধর্ষণের শিকার হন। নগরীর ৯ নম্বর মির্জাপুর রোড়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী তাঁর ফেসবুকে দেওয়া ছবিতে অযাচিত মন্তব্য এর প্রতিকার পেতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলেন।