খুলনায় সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর অধিকাংশই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পাশাপাশি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ ৫টি সংস্কার কমিশনের জরতুত্বপূর্ণ সুপারিশসমূহের ওপর মতামত চেয়ে ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রদান করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তাদের সাথে তাদের আলোচনাও শুর হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নন, এমন নাগরিকদের মতামত চাওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট নন এমন নাগরিকগণ বিষয়গুলো নিয়ে কী ভাবছেন বা কী তাঁদের চাওয়া, সে সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। প্রয়োজন নাগরিক ভাবনাকে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা। এমনই এক আকাংক্ষাকে সামনে রেখে নাগরিক সংগঠন সুজন-এর পক্ষ থেকে গত ২০ মার্চ’২৫, রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে, এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল এবং বিভাগীয় পর্যায়েও গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উক্ত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাবে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম। জেলা কমিটির সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদার সঞ্চালনায় বৈঠকে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় উপাস্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রয়ি সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, সুজন মহানগর কমিটির সম্পাদক অধ্যাপিকা রমা রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক দিদারুল আলম, এমইউজের সভাপতি মোঃ আনিসুজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মুহসীন, সাংবাদিক পপলু, এড. বাবুল হাওলাদার, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব সুতপা বেদজ্ঞ, টিআইবির সহ-সভাপতি রিনা পারভীন, এড. মোমিনুল হক, মনোরঞ্জন মন্ডল, ফরিদুল হক, শামীমা সুলতানা শিলু, এড. মোমিনুল ইসলাম, স্বপন দাস, সৈয়দ আলী হাকিম, খলিলুর রহমান সুমন, আবু সাঈদ খান, আফজাল হোসেন রাজু, জয়ন্ত প্রমূখ। বৈঠকটিতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণসহ সুজন-এর স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, সরকার প্রতিটি সেক্টওে সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা রাষ্ট্রের জন্য খুবই সুখবর। দেশের জনগণ তাদের অধিকার ফেরত পাবে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার পথ বন্ধ হবে। এ জন্য সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে স্বৈরাচারের আগমন পূণরায় ঘটতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবি জানান নাগরিকত নেতারা।
ঊআ-বিএস