ঊষার আলো রিপোর্ট : সদরঘাটে লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে পা হারানো কবির হোসেনকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।বুধবার (১৫ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৯ মে কবির হোসেনকে চিকিৎসা ও মানসিক ক্ষতি বাবদ এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আলী আজগর খালাসীসহ ৮ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়। কবির হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ এ নোটিশ পাঠান।
তার আগে ১৮ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘এই সংসার চলবে কী করে : লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো কবিরের স্ত্রী’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি সংযুক্ত করে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশে বলা হয়েছে, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির হোসেন।
ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। অপেক্ষার পর পূবালী-১২ নামের এক লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ পন্টুনে। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়।
কেটে ফেলতে হলো ওই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।তাই নোটিশ পাওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে জবাব দাখিল, ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ লাখ টাকা প্রদান এবং তার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির জন্য অবশিষ্ট ৯৫ লাখ টাকা সাতদিনের মধ্যে প্রদান করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইনজীবী।
ঊষার আলো-এসএ
