নবনিযুক্ত ট্রেজারারের যোগদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য
ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী ১৭ আগস্ট (বুধবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের মাধ্যমে দায়িত্বগ্রহণ করেন। তাঁর এ যোগদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তাঁর যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই অনেকটা পথ অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা, গবেষণায় এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বমান অর্জন। এখানে সবার প্রচেষ্টায় শিক্ষা ও গবেষণার একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ চেষ্টা ও ভূমিকার ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্নের পর তা আগামী মাসে পেশ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে এবং বিশেষ করে সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ট্রেজারারের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সে বিষয়টি যথাযথভাবে উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এই পদটি প্রায় ১ বছর ধরে শূন্য ছিলো এবং তা আজ নবনিযুক্ত ট্রেজারারের যোগদানের মাধ্যমে পূরণ হওয়ায় সে জায়গাটি পূর্ণতা পেলো। এখন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে চাই। তাঁর যোগদানের মাধ্যমে এ প্রচেষ্টার পথ আরও গতিশীল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, নতুন ট্রেজারারের যোগদানের মাধ্যমে আমাদের ঐক্যবদ্ধ পথচলায় নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। তিনি তাঁর মেধা, মনন, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই পথচলা আরও ত্বরান্বিত করবেন বলে উপ-উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।
নবনিযুক্ত ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ স্বনামে সমৃদ্ধ। এর অন্তর্নিহিত শক্তি হচ্ছে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অবদান। এখানে সবাই এই প্রতিষ্ঠানকে মনে-প্রাণে ধারণ করেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা যারা এই অঞ্চলের মানুষ তারাও এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ববোধ করি। মানুষ এখন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের পরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেন। এটা সত্যিই অত্যন্ত আনন্দ জাগায়, অনুপ্রেরণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষা, গবেষণায় যে অভুতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখতেন, তিনি সেলক্ষ্যে যে জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন তা পনেরো আগস্টে স্তব্ধ হয়ে যায়। তার সেই মানস-ভাবনা, তাঁর সেই যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, অভিলক্ষ্য অনুধাবন করতে পারলে আমরা স্বপ্নের সৌধে পৌঁছাতে পারবো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুব নিকট ভবিষ্যতে দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় নেতৃত্বের জায়গায় অধিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে তাঁর এই পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সহায়তা কামনা করেন।
নবনিযুক্ত ট্রেজারার তাঁকে এ দায়িত্ব প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সাথে তিনি তাঁর যোগদান উপলক্ষ্যে এমন সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান। এর আগে তিনি যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেন।
যোগদান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। এসময় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ এবং ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ উপস্থিত ছিলেন।