তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং প্রতি বছর স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে তালায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) বিকালে তালা শিশুতীর্থ স্কুলের সম্মেলন রুমে বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে- ভূ-গর্ভস্থ জলাধারের অবস্থা কোথায় কেমন সে বিষয়ে ব্যাপক ভিত্তিক একটি হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন করা; দরিদ্র, হত দরিদ্র, দলিত শ্রেণী, প্রতিবন্ধী ও নারী প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন খাতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ রাখা; সুপেয় পানির জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এলাকার দীঘি, পুকুর, খালসহ সকল ধরণের পানির আধারগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করে নতুন নতুন দীঘি, পুকুর খননের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানানো হয়।
এ সময় উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চল তথা সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগপ্রবণ অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা। এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো সুপেয় পানির সংকট। এ এলাকার ৬৭ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ৫৫ লক্ষ অধিবাসী এ সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। ক্রমেই এ সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যার দরুণ জীবন-জীবিকায় ও বসবাসে মারাত্মক ধরণের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সুপেয় পানি সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের দুর্যোগ ও জলাবদ্ধতার সময় এ এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা এবং এলাকার জন্য অপ্রতুল রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ কারণে এ এলাকায় দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি। অধিক দারিদ্র্য পীড়িত এ এলাকায় খাবার পানি ক্রয় করা, এ কাজে ব্যাপক শ্রম ঘন্টা ব্যায় করা এবং প্রতি বছর ল্যাট্রিন সংস্কার করা বা নতুন করে নির্মাণ করা বিশেষ করে দরিদ্র এবং সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির পক্ষে অত্যন্ত কঠিন বিষয়। এ অঞ্চলে বিশেষ করে মহিলাদের এক কলস খাবার পানি সংগ্রহের জন্য ২ থেকে ৫-৬ কিমি দূরে যেতে হয়, দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)