UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় খুলনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

koushikkln
নভেম্বর ৮, ২০২২ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল- ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

মত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন। এদের মধ্যে মারশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শাহাদাত হোসেন ও কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম পলাতক রয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে নগরীর সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনী এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুদিন পর শান্ত মোবাইল ফোনের মধ্যমে তাকে ডেকে নেয় । এরপর নগরীর সাহেবের কবর খানায় উভয়ের দেখা হয়। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানার বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। এই সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে উপিস্থিত অন্যান্যরা। পরে ঐ ছাত্রীকে ধারণকৃত ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে তারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি সে তার বড়বোনকে খুলে বলে।

এরপর তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরেরদিন বড়বোন বাদী হয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।