আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাট শহরের হরিনখানা এলাকায় পুরাতন রেলওয়ের জলাভুমি লীজ নিয়ে বালু ভরাট করায় এলাকার অসংখ্য পরিবার জলাবদ্ধতায় পড়ার সম্মুখিন হয়ে পড়েছে।
প্রতিকারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে বাগেরহাট জজ কোটের অ্যাডভোকেট শাহীন সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ঠিকাদার দিদারুল আলম বাবুল, তারিকুল ইসলাম ও আল মাসুদসহ স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট পৌরসভার ২ নং-ওয়ার্ডের পিসি কলেজ সংলগ্ন পুরাতন রেলওয়ের জলাভুমিতে সম্প্রতি এলাকার হাবীব খান পরিবার ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করেছে।
যাতে স্থাপনা তৈরীর প্রস্তুতি চলছে। এমতাবস্থায় ওই এলাকার পানি নিস্কাসনের একমাত্র জলাশয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকার অসংখ্য পরিবার জলাবদ্ধতায় পড়বে। আবেদনকারীদের বসতবাড়ীর সম্মুখিন ওই জমি বাংলাদেশ রেলওয়ে এলএ কেস নং-১০৮, ১৯৬৪-৬৫ সালে অধিগ্রহন করে। রেল লাইন বন্ধ হয়ে গেলেও ওই জমির জলাশয় থেকে এলাকার পানি নিস্কাসন হয়ে আসছে। কারো কোন সমস্যা হয়নি। বর্তমানে ওই জলাশয়ের কিছু অংশ হাবীব খান পরিবার বাংলাদেশ রেল ওয়ের কাছ থেকে লীজ এনে ড্রেজার দ্বারা বালু দিয়ে জলাশয় ভরাট করছে। যেখানে স্থাপনা করে ব্যবসা প্রতিষ্টান করার প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে একজনের জন্য ১০ জনের ক্ষতি হবে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার পৌর কাউন্সিলর সহ গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের সমন্বয়ে পানি নিস্কাসনের পথ রাখার চেষ্টা করেও কোন কাজ হয়নি। লীজ গ্রহীতারা বলছেন তারা রাজস্ব দিয়ে রেলওয়ের কাছ থেকে জমি নিয়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্টান করার জন্য। অথচ,জলাশয় শুধু কৃষি ও মাছ চাষের জন্য লীজ দেয়ার বিধান রয়েছে বলে আবেদনকারীরা বলেন। এ বিষয়ে স্থানী পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অধিগ্রহন কৃত ওই জমির জলাশয় এলাকার বৃহৎ একটি অংশের পানি নিস্কাসনের একমাত্র পথ।
ওই জমিতে বালুভরাট করে স্থাপনা করলে অসংখ্য বসতবাড়ী বর্ষাকালে পানিবন্ধি হয়ে পড়বে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান করা যায়নি। এর সমাধান একমাত্র বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ করতে পারবে। কারন তারাই ওই জলাশয় হাবীব খান পরিবার কে লীজ দিয়েছে। এরপর এলাকাবাসী বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। জানামতে উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
(ঊষার আলো-এফএসপি)