মোঃ আশিকুর রহমান : নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক সোনাডাঙ্গা-মুজগুন্নি। এই সড়ক ধরেই বয়রা সড়ক। বয়রা সড়কে রয়েছে স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপণা। তবে দুঃখের বিষয় হলো সম্প্রতি সময়ে সড়কটির উপর ও মোড়টিতে একদিকে যেমন এলোপাতাড়ী যানবাহনের অবস্থান অপরদিকে ভাসমান ব্যবসায়ীদের রাজত্বে যেন উধাও বয়রার ফুটপাত ও সড়ক। সড়কটিতে এমন দখল বানিজ্যের ফলে পথচারীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বয়রার ওই সড়ক ও ফুটপাতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা নিয়ে বসে পড়েছে অসংখ্যক ভাসমান অস্থায়ী নামের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এই দখলে উধাও যেন বয়রার ফুটপাত।
ক্রমশঃই শহর জুড়ে যানবহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে সেই তুলনায় সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ার দরুন প্রতিনিয়ত সড়ক বেয়ে দাঁপিয়ে বেড়ানো অটোরিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইকের সাড়ি আরো ভাগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। ফুটপাত দখল আর রাস্তার সংর্কীনার কারণে বয়রার মোড়টিতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটে পড়ে যেন ভোগান্তির শেষ নেই বয়রার স্থানীয় বাসিন্দাসহ সড়ক বেয়ে ছুটে চলা যাত্রী সাধারণের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তারা দখলমুক্ত ফুতপাত ও সড়ক চান। বাচতে চান ভোগান্তির হাত হতে। ভোগান্তি লাঘবে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহন করা জরুরী বলে করছেন তারা।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী সালাম জানান, ফুটপাত বসে চটপটি বিক্রি করছি। আমার কাছে এমন কোনো বড় অংঙের টাকা নেই, যা দিয়ে পজিশন নিয়ে ব্যবসা করে সংসার চালাবো। তাই সন্ধ্যা হলেই জুতা নিয়ে বয়রা মোড় বসে পড়ি।
কলেজ ছাত্র নাইম জানান, কোচিংয়ের উদ্দেশ্য প্রতিদিন বিকালে সোনাডাঙ্গা যেতে হয়। বয়রা মোড়ে ইজিবাইকের জন্য খুবই দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া রাস্তার উপরও নানা খাবারের দোকান, জুতা-কাপড়ের দোকান নিয়ে বসে পড়ে ব্যবসায়ীরা এতে চলাচলে দারুন অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারী করা উচিৎ।
কেএমপি ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা জানান, ট্রাফিক বিভাগ খুলনাকে যানজটমুক্ত ও অবৈধ ফুটপাত দখলার ব্যাপারে নিয়মিত কাজ করছে। যানজটমুক্ত নিরাপদ পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ায় ট্রাফিক বিভাগের প্রধান লক্ষ্য। নগরীর বয়রা মোড়সহ সংলঘœ সড়কে ফুটপাত দখলের বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে দেখা হবে।