শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি চলছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে। রপ্তানি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ৪৫৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে ইলিশ রপ্তানির এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদ সংস্থাটি বলছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫টি ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রবিবার ৬টি ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০টি ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ টন, সোমবার ৮টি ট্রাকে ২৩ টন ৬০০ কেজি, সব শেষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ৮টি ট্রাকে ২৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
কম দামে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের।
তখনকার বাজারদরের সাথে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও সেই পরিপত্র অনুযায়ী ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সাথে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।’
রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তা থেকে সরে এসে তারা ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
আর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আরেকটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন দেওয়ার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে অনুরোধ জানানো হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বিবেচনায় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলে রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টনে চূড়ান্ত করা হয়।
২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়েছিল। পরে আবার রপ্তানি শুরু হয়। তবে বিশেষ বিবেচনায় শুধু দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ রপ্তানি হয়ে আসছে।