ঊষার আলো রিপোর্ট : শেখ মাসুদ নামে জনৈক ব্যক্তি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে জড়িয়ে তার ফেসবুক পোস্টে গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন ছাত্রনেতাকে আনার বিষয়ে যে ভাষ্য প্রদান করেছেন, তা সর্বৈব অসত্য বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওইদিনের ঘটনার বর্ণনায় বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে জোনায়েদ সাকির বারবার বের হওয়া ও সামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে তিন সদস্যকে ভেতরে নিয়ে আসার বিষয়ে যা বলেছেন তা একেবারেই তার কল্পনাপ্রসূত।
আবুল হাসান রুবেল বলেন, সেদিন জোনায়েদ সাকি গণতন্ত্র মঞ্চের ৩ নেতা যথাক্রমে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন যারা বঙ্গভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য কর্তব্যরত সামরিক কর্মকর্তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে তিন ছাত্রনেতা বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে জোনায়েদ সাকির যোগাযোগের কোনো সূত্রই ছিলো না এবং তাদেরকে দরবার হলে নিয়ে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারা কার মাধ্যমে দরবার হলে প্রবেশ করেছিলেন সে বিষয়ে জোনায়েদ সাকি কিছুই জানতেন না।
ইতোমধ্যে সেই তিন ছাত্র তাদের নিজস্ব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যে, তারা সেদিন নিজেদের মতো করে দরবার হলে ঢুকেছিলেন, জানান তিনি।
রুবেল বলেন, জোনায়েদ সাকি যদি কোনো শিক্ষার্থী সমন্বয়ককে দরবার হলে নিতে চাইতেন তাহলে নিজেদের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সমন্বয়কদেরই হয়তো নিতেন।
সেই সঙ্গে এটাও বলা প্রয়োজন, দীর্ঘ কয়েকদশকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও পরীক্ষিত একজন জাতীয় নেতা জোনায়েদ সাকির বিষয়ে ফেসবুকের একজন ব্যক্তির এমন আপত্তিকর পোস্ট ধরে সংবাদ পরিবেশন অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উদাহরণ হতে পারে না, যোগ করেন তিনি।
পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বৈরতন্ত্রের উচ্ছেদ তথা জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে একটি অনন্য মাইলফলক। আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে পা না দিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা।
ঊষার আলো-এসএ