UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তফশিল ঘোষণার আগেই দৌলতপুর বেবীট্যাক্সি ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠছে

usharalodesk
মার্চ ২৩, ২০২১ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অপেশাদারদের ভোটার করার অভিযোগ
ঊষার আলো প্রতিবেদক : দৌলতপুর বেবীট্যাক্সি ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। তফশিল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে প্যানা-পোস্টারে ছেয়ে গেছে দৌলতপুরসহ আশপাশ এলাকায়। সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি আঃ কাদের, শেখ কওসার আলী, ইলিয়াস মুন্সী, ওয়াজেদ আলী মজনু, নুরুল ইসলাম নুরু মিস্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সাঃ সম্পাদক মামুন গাজী, খলিলুর রহমান, জহিরুল ইসলাম পান্নু, মোঃ খোকন মিয়া, শেখ শহিদুল ইসলাম। ইতোমধ্যে ভোটার যাচাই বাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে যাচাই বাচাই কমিটির কাজ।
সভাপতি প্রার্থী শেখ কওসার আলী জানান, যাদেও নাম শোনা যাচ্ছে সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা সবাই প্রতি মন্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে আছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত দেয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা পুরোপুরি শুরু হবে। তবে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকা করতে চান না। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী যদি তাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য বলেন তবেই তিনি নির্বাচনে নামবেন বলে জানান। কারণ প্রতিমন্ত্রীর স্বামী শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের গড়া এ ইউনিয়নের এতবড় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে তার নির্দেশনা ছাড়া নির্বাচনে নামা কওসার আলী পক্ষে অসম্ভব বলে তিনি জানান। তিনি জানান, বিগত দিনে এই ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে প্রতিবারই প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন বলে জানান। এবারও ভোটাররা তাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য বারবার বললেও তিনি তাদেও ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। যতক্ষণ না প্রতিমন্ত্রী অনুমতি না দেন ততক্ষণে তিনি নির্বাচনে নামার ব্যাপাওে মুখ খুলতে নারাজ। সাঃ সম্পাদক প্রার্থী মামুন গাজী বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। দিন রাত কাজ কওে চলেছি। এখন ভোট যাচাই বাচাই চলছে। যাচাই বাচাই শেষে নির্বাচনী তফশিল ঘোসণা করা হবে বলে তিনি জানান।
সভাপতি প্রার্থী খোকন মিয়াসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এই ইউনিয়নে নকল ভোটারে ভরে গেছে। ইউনিয়নের আশপাশে পান, চা, পোশাক, দর্জি, হোটেলসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অত্র ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন। যাচাই বাচাই কমিটির চোখে ধুলা দিয়েই এ কাজ হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এতে করে প্রকৃত বেবীট্যাক্সী চালকরা তাদের অধিকার থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। এসব অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত চালকদের ভোটার করার অনুরোধ করেছেন এসব নেতারা। তারা জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩৩৪১জন ভোটার চূড়ান্ত হয়েছে। যার একটি অংশ অপেশার লোক। সামনে আরো সময় রয়েছে, এ সময় আরো অনেক অপেশাজীবী বা অন্য পেশার লোক ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। একটি চক্র অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এসব অপেশাদারদের ভোটার করছে বলে তাদের অভিযোগ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)