খবর বিজ্ঞপ্তি : বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন খুলনার খানজাহান আলী বিমান বন্দর স্থগিতাদেশ হওয়ায় খুলনাবাসী হতবাক হয়েছে।
খুলনায় বিমান বন্দর নির্মিত হোক এটি খুলনাসহ এতদঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এ দাবিতে খুলনাঞ্চলের আপামর জনগন উন্নয়ন কমিটির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন হটাৎ করে খুলনা বিমান বন্দর প্রকল্প স্থগিত করায় এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দুঃখজনকও বটে।
উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারি অর্থায়নে খুলনা বিমান বন্দরের কাজ শুরু করার জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ খুলনা বিমান বন্দর নির্মাণ বাস্তবায়নে আগামী অর্থ বছরের বাজটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে বিমান বন্দর নির্মাণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় চালুর দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াছির আরেফীনের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী আপনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও দৃঢ় নেতৃত্বে বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সামাজিক নানা সূচকে বাংলাদেশ এখন উল্লেখযোগ্য নাম। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের অদম্য আকাঙ্খা, প্রাণশক্তি আর ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের কারণে বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় এখন বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের অভিযাত্রায় খুলনাঞ্চল এখন শক্তিশালী অভিযাত্রী। যদি খুলনার সম্ভাবনা গুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায় তবে খুলনা আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। খুলনার প্রাকৃতিক এবং ভু-রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্রপথে ভারত, নেপাল, ভূটানের সাথে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব। আর এ কারণেই খুলনায় বিমান বন্দর নির্মান একান্ত অপরিহার্য।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, শাহীন জামাল পন, অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার, মামুনুরা জাকির খুকুমনি, মিনা আজিজুর রহমান, মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, এড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মিজানুর রহমান জিয়া, মনিরুল ইসলাম, মফিদুল ইসলাম টুটুল, রকিব উদ্দিন ফারাজী, খলিলুর রহমান, সরদার রবিউল ইসলাম, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ মোরশেদ উদ্দীন, বিশ্বাস জাফর আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, শেখ আব্দুর রশীদ প্রমুখ।