ঊষার আলো রিপোর্ট: আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের সচেতন ব্যক্তি। আর তারাই মেয়র প্রার্থী হিসেবে আমার পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তিনি বলেন, খুলনার উন্নয়নে আমরা এক এবং অভিন্ন। বিগত দিনে খুলনার স্বার্থে আমি বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। আমার নিজের স্বার্থে কিছুই করিনি। তিনি আরও বলেন, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন হলে খুলনার চিত্র পাল্টে যাবে। পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনার সকল অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (২৭ মে) বিকেল ৫টায় খুলনা প্রেসক্লাবস্থ শহীদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে স্বাধীনতা সাংবাদিক নির্বাচন প্রচারণা কমিটি আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা।
সভায় বক্তৃতা করেন স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম খুলনার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, খুলনা প্রেসক্লাব মাল্টিপারপাস সোসাইটি সভাপতি শেখ আবু হাসান, স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সানি, সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ সংযোগ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সময়ের খবর সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, খুলনা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমির সোহেল।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক আহমদ আলী খান, হাসান আহমেদ মোল্লা, অমিয় কান্তি পাল, শেখ দিদারুল আলম, মোঃ শাহ আলম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ আব্দুল হালিম, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোঃ আবুল বাশার, দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন সম্পাদক এস এম সাহিদ হোসেন, এড. ফরিদ আহমেদ, খুলনা টাইমস সম্পাদক সুমন আহমেদ, খুলনার অর্থনীতি সম্পাদক শেখ সেলিম, এস এম কামাল হোসেন, আলমগীর হান্নান, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, রকিব উদ্দিন পান্নু, ওয়াহেদ উজ জামান বুলু, মহেন্দ্রনাথ সেন, সুনীল দাস, সামছুজ্জামান শাহিন, বিমল সাহা, সাইয়েদুজ্জামান সম্রাট, দিলীপ বর্মন, তৌহিদুর রহমান তুহিন, শেখ আব্দুল হামিদ, এসএম মনিরুজ্জামান, মিলন হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, শামীম আশরাফ শেলী, গাজী মনিরুজ্জামান, নুর হাসান জনি, আল মাহমুদ প্রিন্স, জয়নাল ফরাজী, তিতাস চক্রবর্তী, প্রবীর বিশ্বাস, মাহমুদ হাসান সোহেল, নাজমা আক্তার, আব্দুস সাত্তার, রিতা রানী দাস, শেখ লিয়াকত আলী, আমজাদ আলী, দেবনাথ রণজিত কুমার, বাপ্পি খান, আবু নুরাইন খোন্দকার, দেবব্রত রায়, কলিন হোসেন আরজু, হাসানুর রহমান তানজির, খোন্দকার খবিরুজ্জামান বাপ্পি, মামুন খান, মোঃ আবুল বাশার, পলাশ দত্ত, হেলাল মোল্লা, মেহেদী হাসান পলাশ, সাগর সরকার, ফজলে রাব্বি শান্ত প্রমুখ।
মেয়র প্রাথী আরও বলেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনকি মেয়র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার ২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। মহানগরীর ৫৭১টি সড়ক উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে অন্তভুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে ৪১৮টি সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, চলমান আছে ১১৪টি এবং টেন্ডারের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ৩৯টি সড়ক।
দ্বিতীয় প্রকল্পটির শিরোনাম হচ্ছে ‘খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন’। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮২৩ কোটি ৯৭ লাখ ৬ হাজার টাকা। মহানগরীর ২০৬টি ড্রেন উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার মধ্যে ৫২টির কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং চলমান আছে ৮৫টি ড্রেনের কাজ। টেন্ডারের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ৭২টি। সভায় একটি উন্নয়ন ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়।