UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্থিক লেনদেনের বিরোধে খুন হন নেওয়াজ, একজনের স্বীকারোক্তি গ্রেফতার তিন

usharalodesk
মে ৫, ২০২১ ৪:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর ছোট বয়রা এলাকায় নেওয়াজ মোর্শেদকে (৩৪) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ঘটনার মোটিভ উদ্ধারের পাশাপাশি অপরাধের সাথে জড়িত মূল আসামীদের ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাফিজনগরে অভিযান চালিয়ে নূর ইসলামকে ও অপর দুই জনকে দুপুর ২টার দিকে সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্য নূর ইসলাম (২৩) হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৫ মে) দুপুরে মহানগর হাকীম তরিকুল ইসলামের আদালতে হত্যাকান্ডে নিজে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন সে। আসামি নূর ইসলাম হাফিজনগর এলাকার রাঙ্গা মিয়ার বস্তির বাসিন্দা বাবু হাওলাদারের ছেলে। অনান্যরা হলেন, সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার আবুল হোসেনের দুই ছেলে রানা হোসেন(২৫) ও শফিকুল হোসেন(৩২)।

ছবি: গ্রেফতারকৃত আসামী নূর ইসলাম (২৩)

জানা গেছে, টাকা পয়সার বিরোধে নগরীর ১নং ছোট বয়রা ক্রস রোডের রুবির দোকানের পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা এলাকার শেখ শাহজাহানের পুত্র নেওয়াজের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৪ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ১০/১২ জনের এক সন্ত্রাসীরা নেওয়াজ মোর্শেদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দ্বারা নেওয়াজের ঘাড়, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ীভাবে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহতের ভাই শামীম পারভেজ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামী করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এ হত্যায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারক্তি দিয়েছেন। অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোবহান মোল্যা বলেন, নিহত নেওয়াজের সাথে আসামীদের আগে থেকে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী নূর ইসলাম তার জবানবন্দিতে তা স্বীকার করেছেন। একই সাথে নূর ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত মর্মেও আদালতকে জানিয়েছেন।

ছবি: গ্রেফতারকৃত আসামী রানা হোসেন (২৫) ও শফিকুল হোসেন (৩২)।