ঊষার আলো রিপোর্ট : চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। পাঁচ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৪৪৯ কোটি মার্কিন ডলার। আয় হয়েছে দুই হাজার ২২৩ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৯.২৩ শতাংশ।
আর গত বছর একই সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ১৯৪ কোটি ডলার। গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১.৩০ শতাংশ। সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, একক মাস হিসেবে নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সঙ্গে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও কমেছে। নভেম্বরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫২৫ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৮.৯৪ শতাংশ। আর গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ৫০৯ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৬.০৫ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যমতে, জুলাই-নভেম্বর মাসে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৬৪ কোটি ডলার। আয় হয়েছে এক হাজার ৮৮৩ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৮.৭৯ শতাংশ। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪২ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১৯.৯৩ শতাংশ।
এছাড়া উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় দুই হাজার ৩৯৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে দুই হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। আয় কমেছে ৯.৬২ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ১৩০ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১.৫১ শতাংশ।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৯ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১৪.৭৬ শতাংশ। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪২ কোটি ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১৩.৯৩ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি ডলার। আয় হয় ৩৬ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ১০.১৮ শতাংশ। পাশাপাশি গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ৪০ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ১০.৯৯ শতাংশ।
ঊষার আলো-এসএ