খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ (বৃহস্পতিবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত ৭ই মার্চ দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকালে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় প্রশাসন, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, কেডিএ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ সম্বলিত তোরণ স্থাপন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাজনীতির কবি। জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে জাতির পিতা যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যে নিহিত ছিলো অদম্য বাঙালির মুক্তির ডাক। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই ২৩ বছরে বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন, রাজনৈতিক শোষণ-শাসন হচ্ছে, যে ভাবে তাদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছিলো।
খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ শাহ, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার, মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি নওরোজ হাসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও সরদার মাহাবুবার রহমান।
স্থানীয় পত্রিকাগুলো এ উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। খুলনার উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহে অনুরূপভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।