ঊষার আলো রিপোর্ট : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ. সালাম আজাদ ও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফাত আলী সপু। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটা বৃহৎ দলের সাধারণ সম্পাদকের আরও সংযত হয়ে কথা বলা উচিত।
তিনি বলেন, যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা আজ এই দেশের জনগণের ওপরেই ব্যবহার করা হচ্ছে। যে ভারতকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্ধু ভাবতাম, সেই ভারত আজ বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর পাথরের মতো চেপে বসেছে। আপনারা যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন তাহলে কেন এই অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন? কেন অগণতান্ত্রিক আগ্রাসন চালাতে সাহায্য করছেন? ভারতের পণ্য বর্জন আন্দোলন চলছেই চলবে। ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে আমরা নই, আমরা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। কারণ, আপনারা এদেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যার জন্য সাহায্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে আপনারা নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন না। আন্দোলনে আমরা পিছপা হব না।
ফারুক বলেন, কারারুদ্ধ সকল নেতাকে মুক্তি দিন। সময় একদিন আসবেই। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। জয় বাংলাদেশের মানুষের হবেই। আর সেই জয়ের নেতৃত্ব দেবে তারেক রহমান।
আ. সালাম আজাদ বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মোদি সরকারকে বর্জন করেছে।
মীর সরাফাত আলী সপু বলেন, ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের একটাই বক্তব্য ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। মোদি সরকার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আমরা এই মানববন্ধন থেকে ডামি সরকারের প্রধান হাসিনাকে বলতে চাই, আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিন। তা না হলে আপনাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
ঊষার আলো-এসএ