শিল্প কারখানায় ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে কাজ করতে চায় বিশ্বের শীর্ষ বর্জ্য পানি পরিশোধনকারী কোম্পানি ডুপন্ট। বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি হোটেলে দিনব্যাপি সেমিনারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটির প্রতিনিধিরা এ লক্ষ্যের কথা জানান।
অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সেমিনার উদ্ভোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডুপন্ট ইন্ডিয়ার পরিচালক ক্রিস ফারনান্দেস, ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাবিব। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপগুলোর প্রায় ২০০ প্রতিনিধি সেমিনারে অংশ নেন। বাংলাদেশে সেবা প্রসারে ডুপন্টের ব্যবসায়ী অংশীদার ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশ।
আলোচনায় বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানির চাহিদা মেটাতে সমুদ্রের নোনাপানি পরিশোধন করা হতে পারে। সমুদ্রের পানি পরিশোধনে প্রস্তাব দিতে কোম্পানিগুলোকে আহ্বানও জানান তিনি।
বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, ২০৪০ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে দিনে একশ কোটি লিটার পানির চাহিদা তৈরি হবে। পানির চাহিদা মেটাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। আরও ১০ কোটি লিটার পানি পেতে দুটি পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।তিনি জানান, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী থেকে দিনে ৫০ কোটি লিটার উত্তোলনে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাধ্যমে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে।
ইউসুফ হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ছাড়াও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানির চাহিদা পূরণ কঠিন হবে। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ডুপন্ট ইন্ডিয়ার পরিচালক ক্রিস ফারনান্দেস বলেন, ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে ডুপন্ট একটি প্রযুক্তিনির্ভর বিপ্লব ঘটাতে চায়। আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে আছে রিভার্স অসমোসিস, আল্ট্রাফিলট্রেশন এবং আরও অনেক উদ্ভাবন।
ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাবিব বলেন, পানি পরিশোধন ও শিল্পের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে আমরা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এগোতে চাই। এতে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।
উল্লেখ্য, শিল্প কারখানার পানি পরিশোধন, সমুদ্রের পানি পরিশোধনসহ পানির চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপি প্রযুক্তি নির্ভর সেবা দেয় ডুপন্ট। ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন ও নগরায়নের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশেও ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটি।