UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নগরীর ঈদ বাজারে কেনাকাটার ব্যস্ততা, নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা

usharalodesk
মে ১২, ২০২১ ৯:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ঈদ যেন কড়া নাড়ছে। প্রিয়জনের জন্য হাতে করে একটি নতুন কাপড় কিনতে তাই মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ব্যস্ততম নগরীর সর্বস্তরের লোকেরা। মহানগরীর মার্কেটগুলোতে সর্বত্র ঈদকে ঘিরে শেষ সময়ের কেনাকাটার ঢল নেমেছে। সমগ্র বাজার জুড়ে কেনাকাটায় ক্রেতা আর বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। ক্রেতাদের কানায় কান্নায় পরিপূর্ণ প্রতিটি দোকান। কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে যাওয়া আর পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে নতুন পোশাক উপহার দেয়ার আনন্দটাই আলাদা। যে কারণে করোনাকালীন সময়ে শত অভাব আর অনটন থাকা সত্ত্বেও বাজারে পোশাক কিনতে আসতে হয়েছে। ঈদ বলে কথা, এমনই বক্তব্য বাজারে আসা অধিকাংশ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে, বুধবার (১২ মে) বাজারে আসা ক্রেতাদের আগমন সমগ্র বাজারকে মুখরিত করে তুলেছে। শাড়ি, জুতা, থ্রী-পিস কর্নার, শিশুদের বাহারী পোশাক, ব্যাগ প্রসাধনীসহ দোকানগুলোতে চলছে কেনাবেচার মহোৎসব। মহিলা-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুন-তরুনীদের আগমনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ-সাজ রব বিরাজ করছে। যদিও দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় প্রকোপের কারণে লকডাউন চলছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই সকলের কেনাকাটার চাপে সামাজিক কোন দূরত্ব বজায় থাকছেনা। যে কারণে থাকছে নতুন করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি। বিশেষ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা মিলছেনা ক্রেতা বা বিক্রেতারা উভয় মুখে মাস্কের ব্যবহার।
নগরীর শপিংমল, মার্কেটগুলোতে শোভা পেয়েছে প্রিন্ট শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, গ্যাস সিল্ক, বেনারসি, জামদানী, সিল্ক, কাতান, ঝুট জামদানী। শার্ট-প্যান্ট, গেজ্ঞি ,পাঞ্জবি, ইন্ডিয়ান, থাই আর চায়না প্যান্ট, মেয়েদের লং গাউন, ছোটদের স্কার্ট, ফ্রক, আর টপস্ আর সু, সেন্ডেল, পেন্সিল সু, নাগড়া, চায়না সেন্ডেল, দুই ফিতা সেন্ডেল, সাইকেল সু, লুফার, বাচ্চাদের চায়না-থাই,কেস, সু-সেন্ডেল, প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে, কাঁকড়া, আইলিনার, মাসকারা, কানের দুল, কাজল, সেট, ক্রিম, পারফিউম, মেহেদীসহ বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনীঅকৃষ্ট করছে ক্রেতা সাধারণকে।
ক্রেতাদের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম করছে ব্যবসায়ীরা। সকাল হতে শুরু করে টানা সারাদিন চলছে অবিরাম কেনাবেচা। তবে সন্ধ্যার পর তো কথাই নেই, ত্রেতাদের ঢল নামে। দোকান বন্ধের আগ পর্যন্ত চলছে একেধারে কেনাবেচা।
আধুনিক বিপনীগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি নজরকাড়ার মতো। খুলনা গল্লামারীর বাসিন্দা সালেহা বলেন, বেলা ১১টায় বড় বাজারে এসেছি। হাতে টাকা ছিল না তাই বাজারে আসতে দেরি হয়ে গেল। তবে বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বেশী থাকায় বিক্রেতারা পোশাকের দাম বেশি রাখছে।
চাকরিজীবি তাসিফ হাসান জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলাম। বাজারে এসেছি কেনাকাটা করার জন্য। কিন্তু বাজারে যে পরিমানে ভীড় তাই করোনা সংক্রমনের ভয়ে প্রবেশ করতে ভয় লাগছে।
এই মুহুর্তে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত নগরীর সমগ্র বাজার। ক্রেতাদের আগমনে ব্যবসা করতে পেরে ব্যবসায়ীরাও খুশি। তবে কোন ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

(ঊষার আলো-এমএনএস)