ঊষার আলো রিপোর্ট : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ১৫,২৩৯.৫৫ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদে ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
শাম্মী আহমেদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে তামাক ও মদজাতীয় পণ্য ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্তি সুবিধা লাভ করায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি লাঘব হচ্ছে এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
১১ মাসে রপ্তানি আয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার
এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছর (২০২২-২৩) ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.২৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মে মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
রপ্তানি আয়
নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মে পর্যন্ত পণ্য খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫১ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার। এ সময়ে সেবা খাতের রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ হাজার ৮৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।
পোশাক শ্রমিক
নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিএমইএর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে ৫২.২৮ শতাংশ নারী শ্রমিক।
মূল্যস্ফীতি
মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫.৪৮ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫.৬৫ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৫৬ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.১৫ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯.০২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল।
ঊষার আলো-এসএ