UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই ভূখণ্ডে ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম জাবি: শিবির সেক্রেটারি

usharalodesk
অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‌‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম- ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ মন্তব্য করেন শিবির সেক্রেটারি।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ২০শে আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্‌বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাশ হলে ‌‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সেক্রেটারির পরিচয় প্রকাশ করে ইসলামী ছাত্রশিবির।

জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিবের নামে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশ করেন সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সক্রিয় উপস্থিতির ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে সকল দলের অংশগ্রহণে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। এছাড়া মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনার জন্য, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।

১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সিন্ডিকেট সভা প্রসঙ্গে নেতারা বলেন, সেখানে শিবির নিষিদ্ধের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভায় বলা হয়েছিল, শিবিরের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত হওয়ায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

তারা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু গোষ্ঠী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছরে ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহিদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক। এই যৌক্তিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায় সব ছাত্র সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ঊষার আলো-এসএ