ঊষার আলো ডেস্ক : ‘বিলাবল’ আমার নেত্রকোনার বাসার নাম ‘দরবারি’ আমার ময়মনসিংহের বাসার নাম, । হঠাৎকরে সিদ্ধান্ত নিলাম এসব বৈষয়িক ঝামেলা হতে মুক্ত হওয়া দরকার। জায়েদ আমার উপার্জন বা বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে কখনোই নাক গলায়নি, বরং সে বরাবরই নিজের পৈতৃক সম্পত্তির ক্ষেত্রেই উদাসীন! অতএব বলা চলে, এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবার বেলায় আমি শতভাগ স্বাধীন। ২ কন্যার মতামত জানা দরকার বলে মনে হলো। নায়লা যেহেতু মতামত জানাবার মতো বয়সে এখনো আসেনি তাই রোদেলাকেই জানালাম – আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার দুটো বাড়ি আমি দান করে দেব, তোমার কি কোনো আপত্তি আছে? উত্তরে মেয়ে একদম স্পষ্ট গলায় বলল- তোমার সম্পত্তি তুমি যাকে খুশি তাকে দাও, আমাকে জিজ্ঞেস করার কী আছে! আমি নিজের যোগ্যতায় কিছু করতে চাই। মনে হলো সন্তানকে ঠিকভাবেই মানুষ করতে পেরেছি, খুব আনন্দ হলো.. খুব.. খুব.. খুব। একমাত্র বান্ধবী হ্যাপি, যার প্রধান কাজ আমার সকল সঠিক অথবা বেঠিক কাজে সায় দিয়ে যাওয়া, বরাবরের মতো সে একই চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছে।
এদিকে আমার ইচ্ছে জানার পরে গ্রহীতার চেহারা দেখবার মতো ছিল। আমি তারপর কয়েকজনের সাথে পরামর্শ করলাম, কিন্তু সবাই আমায় নিরুৎসাহিত করল। তাতে অবশ্য কিছুই যায় আসে না। কারণ, সারাজীবন আমি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছি। ঠকেছি, শিখেছি, বারবার হেরেছি, কিন্তু পথচলা থামাইনি। দুদিনের মধ্যে দুটো ডুপ্লেক্স বাড়ির মালিক হতে গৃহহীন হয়ে গেলাম! আপাতত সম্বল স্বামীর ঘর, পরে কি হবে, সেটা পরে দেখা যাবে। আর মৃত্যুর পরে মাটির ঘর তো আছেই।
বেশ হালকা লাগছে, যেন কোনো প্রকার চাপ নেই। মধ্যবিত্ত পরিবারের সম্পদ নামের কদর্য সংঘাত হতে আমি মুক্ত। আমি পৃথিবী ঘুরতে চাই, প্রাণখুলে হাসতে চাই, চিৎকার করে কাঁদতে চাই, গান গেয়ে যেতে চাই। এসবের জন্য যতটুকু অর্থের প্রয়োজন, সেটা আমার আছে, ওতেই আমার চলবে। বাড়ি দুটোর বর্তমান মালিক আমার একমাত্র ছোট ভাই Shahria Aman Sani। তবে বাড়ির মালিক সানি হলেও আজীবন এই বাড়িতে থাকবার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। এই ত বেশ ভালো আছি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
(ঊষার আলো-এফএসপি)