UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিযুক্ত কাজী ও শিক্ষক আলমগীরের স্থায়ী বস্কিারের দাবি স্থানীয়দের

ঊষার আলো প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ৯:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তেরখাদায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং আজগড়া ইউনিয়নের (বিবাহ নিবন্ধক) ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মোঃ আলাউদ্দিন শিকদারকে স্থায়ী ভাবে চাকুরিচ্যুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার শেখপুরা খড়বড়িয়া খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা দাখিল মাদরাসায় গত ২১ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই শিক্ষক একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শিক্ষক আলাউদ্দিনকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, খুলনা জেলা রেজিষ্ট্রারসহ মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন তারা।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মোঃ আলাউদ্দিন শিকদার স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি আজগড়া ইউনিয়নের কাজী (বিবাহ নিবন্ধক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আজগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে  অষ্টম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানী করার কারণে জানাজানি হলে পরে স্থানীয়রা তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দেন।

পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর চলতি বছরের ২১ নভেম্বর চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুর পরিবার পুলিশের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন। সেই অভিযোগে পুলিশ ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে। আদালত আসামীকে কারাগারে পাঠায়। এর আগে স্কুলে গ্রুপিং তৈরি, ক্লাশ না নিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা, অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর খবরদারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী বরাবর মুচলেকা দেন আলাউদ্দিন শিকদার।
এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতকতা স্থলনের অভিযোগ আগে থেকেই। যা নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিস হয়েছে। সর্বশেষ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আমরা তার সকল লাভজনক পদ থেকে স্থায়ী বহিস্কার চাই।

ঊ/আ-এইচআর