বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক শাওন বলেন, বাংলাদেশ আজ যে কোনো সময়ের তুলনায় ভিন্ন রকম সময়ের সাক্ষী। ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে জবরদখল পাথরের মতো বসে থাকা ফ্যাসিস্টদের উৎখাত শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের তরুণ সমাজের বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বে লাখো জনতা রাজপথে নেমে এসে নির্ভয়ে লড়াই করে রক্ত দিয়েছে। মাত্র এক মাসে দীর্ঘ ১৫ বছর জাতির ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচারকে ছাত্র-জনতা তাড়িয়েছে। তাই এবারের বিজয় দিবস নতুন সংকল্প ও নতুন প্রত্যয় নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্ববর) খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে এমইউজে খুলনার আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃত্য়া তিনি এ সব কথা বলেন।
এমইউজে খুলনার কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানার বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এমইউজে খুলনার সাবেক স-সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম টুটুল, এমইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ আলাউদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসান, সিনিয়র সদস্য এরশাদ আলী, মাকসুদ আলী, আহমদ মুসা রঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম নূর, সেলিম গাজী, এম এ জলিল, কামরুল হোসেন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ আগস্ট বা ৩৬ জুলাই দ্বিতীয় বিজয় অর্জনের পর আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। আমরা কি আবার ভোটাধিকারহীন থাকব নাকি আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারব, সেই বিষয়টি সুরাহার সময় এসে গেছে। একাত্তরে আমরা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্বাধীনতার স্বাদ সত্যিকার অর্থে কি জনগণ পেয়েছে? যদি পেয়ে থাকে তাহলে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর কেন ২০২৪ সালে এসে আমাদের বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তার জন্য জীবন দিতে হবে? এতগুলো ছাত্র-জনতা ও নারী-শিশুকে কেন গুলিবিদ্ধ হতে হবে? জাতীয় পতাকা পেলেও আমরা জনগণ দেশের মালিকানা ফেরত পাইনি। বেদনার অঙ্কুরিত কণ্ঠে এখনো লিখতে হচ্ছে। এজন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ চাই। আজকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে আমরা চাই, আর কোনো ফ্যাসিস্ট যেন এদেশে আর ফিরে না আসে।
ঊ/আ-এইচআর