খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ সাধনে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সকালে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ তুলে ধরা হয়। সভায় উপ-উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে কোলাবরেশনে আগ্রহী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও প্রকৌশল বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, চারুকলা, সমাজিক বিজ্ঞানসহ নানা ধরনের সাবজেক্ট চালু থাকায় এখানে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ বৈচিত্রময়। তিনি ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে প্রশংসা করেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহজালাল, দি অফিস অব ইন্টরন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান। বক্তারা বলেন, ইরান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী। বিশেষ করে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, স্টুডেন্ট/স্টাফ এক্সচেঞ্জ নিয়ে কাজ করার নানা সুযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি ছাত্রীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে নতুন হল নির্মাণসহ ইরানের অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যেতে চায়।
এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকেই ইরান পাশে ছিল। বিশেষ করে ইরানের কালচারাল সেন্টারের সহযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার চালু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে নানা কারণে সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান প্রশংসনীয়। ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, সহযোগিতামূলক ও অর্থবহ প্রোগ্রাম করতে আগ্রহী হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শীঘ্রই ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবরেশন করা সম্ভব হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষের পথে এগিয়ে নিতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও ইরান পাশে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর সহধর্মিনীকে ফুলের শুভেচ্ছা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভীসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর সহধর্মিনী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন।
ঊ/আ-এইচআর