খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুল আলম তুহিন।
সোমবার (২৪) ফেব্রুয়ারী খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নেতাকর্মিদের সরাসরি ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৯৯ জন ভোটারের মধ্যে সভাপতি পদে শফিকুল আলম মনা পেয়েছেন ২৯৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তরিকুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৮৯টি এবং সাহাজি কামাল টিপু পেয়েছেন ৩ ভোট। এছাড়াও তিন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে শফিকুল আলম তুহিন পেয়েছেন ২৮৮ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর পেয়েছেন ২০৩ ভোট এবং কাজী মাহমুদ আলী পেয়েছেন ২ ভোট। ৬টি ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল সাড়ে ১০ টায় সম্মেলন শুরু হয়। খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে রঙ বেরঙয়ের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্লাকার্ড হাতে আসেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এ সম্মেলনে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বক্তৃতা করেন বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। শোক প্রস্তাব পড়ে শোনান সৈয়দা রেহানা ঈসা।
কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন অন্তবর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আহবান জানান।
বিকালে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে লড়াই করেছেন ১২ জন। ভোটার রয়েছেন ৫০৫ জন। এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপির সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। আর ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
ঊআ-বিএস