শিক্ষা ও গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ১০ মার্চ (সোমবার) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলাস্থ সভাকক্ষে এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নাকামুুরা কাজুহিকো এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। পরে স্বাক্ষরিত এমওইউ’র কপি উভয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এমওইউ স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে খুুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সুন্দরবন উপকূলের নিকটবর্তী অবস্থান এবং বিষয়ের বৈচিত্র্যতা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বহুমুখী জ্ঞান অর্জন ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠে পরিণত করেছে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই এমওইউর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও গবেষণার মানোন্নয়নের পথ আরও সুগম হলো। আমি আশা করি, এমওইউ অনুযায়ী দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর হানাওয়া মাসানোরি বলেন, জাপানের উন্নত প্রযুক্তি এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যে সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে, তাতে পারস্পরিক সহযোগিতায় গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন কিছু করা সম্ভব হবে। এই এমওইউ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, এই এমওইউ স্বাক্ষর উদ্যোগের সূচনাকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ শামীম আহসান, ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনালাইজেশনের ডিরেক্টর ও ম্যাকাট্রনিক্সের প্রফেসর হিরোমিতশু নিশিজাকি, সম্প্রতি সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল খালেক সরকার রব্বানী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নূর আলম, জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন, ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস অ্যান্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেম (আইআইএসএসসিই) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী, সয়েল, ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন সালাম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফয়সাল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ইসিই বিভাগের প্রফেসর ড. প্রকৌ. মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপাচার্য বিদেশি অতিথিদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন। অতিথিরাও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালককে স্মারক উপহার প্রদান করেন।
স্বাক্ষরিত এমওইউতে শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি একাডেমিক এক্সচেঞ্জ, যৌথ গবেষণা ও একাডেমিক প্রোগ্রাম, সুযোগ-সুবিধা এবং সম্পদের যৌথ ব্যবহারসহ পারস্পরিক সহযোগিতার অন্য যেকোনো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ, টেকনিক্যাল ইনফরমেশন এক্সচেঞ্জ, ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে।
ঊআ-বিএস