UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিচার দাবিতে কেএমপি ঘেরাও সোমবার

ঊষার আলো ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৫ ১০:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সমাবেশ
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা রয়ে গেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে এবং জুলাই অর্জনকে বির্তকিত করতে চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় শিরোমনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘বিনা উস্কানিতে খানজাহান আলী থানার অর্ন্তগত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযানের তান্ডব চালানোর মুল হোতা কেএমপির খানজাহান আলী থানার ওসি কবি ও এসআই ইস্তিয়াককে প্রত্যাহার ও শান্তির দাবিতে’  খানজাহান আলী থানা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন খানজাহান আলী থানার ওসি ও এসআইকে প্রত্যাহার না করা হলে আগামী ০৫ মে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর কার্যালয় ঘেরাও করবে খুলনা মহানগর বিএনপি। তিনি বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে খানজাহান আলী থানা পুলিশ অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করছে। এ যেন বিগত স্বৈরাচারী আমল আবার ফিরে আসছে। আর স্বৈরাচারের দোসররা, চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু তাদের গ্রেফতার করছেন না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, অত্যান্ত দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে বলতে হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের পর এখনো প্রশাসনের মধ্যে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেত্মারা রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওসি কবির ও এসআই ইস্তিয়াককে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। বাধ্য হয়ে আজ আবারো আমরা সমাবেশ করছি। আমরা শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল বলে আবারো একই দাবিতে সমাবেশ করছি। আমরা প্রতিবাদ সমাবেশকে প্রতিরোধের সমাবেশে রুপান্তরিত করতে বাধ্য করবেন না। কাদের ইশারায়, কাদের পরামর্শে, কাদের বুদ্ধিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল ভাবলে ভুল করবেন। সামনে যদি কোন ধরণের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার দায়-দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে। খুলনার মাটি বিএনপির ঘাঁটি এখানে অন্য কারো জায়গা হবে না। ফ্যাসিস্টদের দোসরদে সাথে নিয়ে যারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা দিবা স্বপ্ন দেখছেন। অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারকে খানজাহান আলী থানার ওসি কবির ও এস আই ইসতিয়াককে প্রত্যাহারের দাবী জানান। খানজাহানআলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, খালিশপুর থানার সভাপতি এড. শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, দৌলতপুর থানার সভাপতি মুর্শিদ কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ ইমাম হোসেন, আনসার আলী, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, ইবাদুল হক রুবায়েত, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, আতাউর রহমান রুনু, শ্রমিকদলের মজিবর রহমান, শািফকুল ইসলাম শফি, জাসাসের কেএম এ জলিল, ছাত্রদলের তাজিম বিশ্বাস, মতলুবুর রহমান মিতুল, জাহিদুল ইসলাম, মলি চৌধুরী, শিরিনা আক্তার, কাজী শহিদুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, সৈয়দ মাঈনুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন, মীর শওকত হোসেন হিটু, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা প্রমূখ।
ঊআ-বিএস