বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে ৩১ দফার আলোকে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আমির খসরু বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আমরা এক সঙ্গে আন্দোলন করেছি। এটা অব্যাহত রাখছি। এই ধারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনসহ আগামী দিনে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব। আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সবাই মিলে বাস্তবায়ন করব। একটা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক জনগণ অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। যে আশঙ্কা ছিল সেটা কেটে গেছে। জাতি এখন নির্বাচনের টানেলে প্রবেশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, নির্বাচনের তারিখ, মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ, বাছাইয়ের তারিখ, নির্বাচনের দিনক্ষণ সব কিছুর একটা সিডিউল দেওয়া হয়। সেটা নির্বাচনের এত আগে কখনো দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের কাছাকাছি সময় দেওয়া হয়। সব নির্বাচনেই একই অবস্থা। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে আমরা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর একটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার উত্খাত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারপরেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। লন্ডনের একটি স্মরণীয় বৈঠকের মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দেশের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে বিএনপি, আমরাসহ ক্রিয়াশীল সব দল ভূমিকা রাখছি। বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে আলোচনা হচ্ছে। সব দল দলীয়ভাবে সেখানে মতামত দিচ্ছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছি, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে সেগুলো অনতিবিলম্বে আগামী সংসদে পাশ করার জন্য জাতীয় প্রস্তাব হিসাবে রাখা এবং সেই ব্যাপারে কোনো রকম যেন কালক্ষেপণ করা না হয়।
লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্য বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন- সভাপতি পরিষদ সদস্য একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, মো. সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নুরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ।
গণফোরামের বৈঠকের পর এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
ঊষার আলো-এসএ