তালা প্রতিনিধি : পাওনা টাকা চাওয়ায় তালার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে বিধবা এক নারীকে মারপিট করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকাম আলী সরদারের ছেলে পলাশ সরদার পিটিয়ে অসহায় নারী ছায়রা বেগমকে গুরুতর আহত করে। ঘটনার প্রতিকার পেতে ইউপি সদস্য পিতার নিকট অভিযোগ দায়ের করলে উল্টো নানান হুমকি দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগী ছায়রা বেগম অভিযোগ করেছেন। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
তালার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের মৃত. এরমান সরদারের বিধবা মেয়ে ছায়রা বেগম জানান- স্বামী, পুত্র সন্তান ও পিতা না থাকায় জীবীকার তাগিদে পিতার বাড়িতে থেকে একটি ছোট মুদি দোকান করে ব্যবসার করেন তিনি। এই দোকান থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকাম সরদার বিভিন্ন সময়ে মুদি মালামাল এবং ৫০, ১০০ নগদ টাকা করে ধার নেয়। এতে তার নিকটে ১বছরে প্রায় ৫ হাজার টাকা পাওনা হয়। এছাড়া মেম্বরের ছেলে পলাশ সরদারের নিকট অনুরুপ ৫ হাজার ৭শ টাকা পাওনা রয়েছে। বাপ ও ছেলের কাছে ১ বছরের পাওনা প্রায় ১১ হাজার টাকা আদায়ের জন্য ৩মাস আগে অনুষ্ঠিত হালখাতার দাওয়াত দেয়া হয়। কিন্তু বাপ ও ছেলে হালখাতা না করে টাকা পরিশোধে নানান তালবাহানা করতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পলাশ সরদার ছায়রা বেগমরে দোকানে আসলে তার নিকটে টাকার তাগাদা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পলাশ সরদার ধারাল অস্ত্র দিয়ে অসহায় ছায়রা বেগমের উপর হামলা করে। হামলায় ছায়রা বেগম কান কেটে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এদিকে, দরিদ্র মুদি দোকানী ছায়রা বেগমকে মারপিট করার প্রতিকার পেতে শুক্রবার রাতে পলাশের পিতা ইউপি সদস্য মোকাম সরদারের কাছে গেলে সেও নানান হুমকি দেয়। এব্যপারে হামলাকারী পলাশ সরদার ও তার পিতা মোকাম সরদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের’র প্রক্রিয়া চলছে বলে ভুক্তভোগী ছায়রা বেগম জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার খলিলনগর ইউপি সদস্য মোকাম সরদারের বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্রদান এবং বিধবা-বয়স্ক ভাতা সহ সরকারি নানান সুবিধা পাইয়ে দেবার কথা বলে এলাকার দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু, দীর্ঘদিনেও ঘর প্রদান বা টাকা ফেরৎ না দেয়ায় ইতোমধ্যে এক ক্ষুব্ধ নারী মোকাম মেম্বরের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যায়। পরে সালিশ সভায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
(ঊষার আলো-এমএনএস)